উজ্জ্বল ত্বক ও স্বাস্থ্যকর চুল পেতে কে না চায়! এই দুই ক্ষেত্রে উন্নতিতে ভাতের মাড়ের আছে দারুণ কার্যকর। এক হাজার বছর আগে জাপানে সৌন্দর্যচর্চায় চাল ধোয়া পানি ও ভাতের মাড় ব্যবহৃত হতো। সময়ের সঙ্গে তা বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পায়। আর এটি এমনই এক রূপচর্চার উপাদান, যা আপনি খুব সহজে, প্রায় বিনা খরচে বাড়িতে তৈরি করে নিতে পারেন।
তিনভাবে ‘রাইস ওয়াটার’ বা চাল ধোয়া পানি বানাতে পারেন।
১. আধা কাপ চাল দুই কাপ পানিতে ৩০ মিনিটের মতো ভিজিয়ে রাখুন।
২. ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখা চালের পানি ২৪–৪৮ ঘণ্টা ঘরে রেখে ফার্মেন্টেড করেও ব্যবহার করতে পারেন। যখনই গন্ধ বের হবে, বুঝবেন, এখন এটা ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত। এই পানি একটা স্প্রে বোতলে রেখে সংরক্ষণ করতে পারেন।
৩. এটা তো সবার জানা, চাল সেদ্ধ করার পর অতিরিক্ত যে পানি ফেলে দেওয়া হয়, সেটিই ভাতের মাড়। আরে এই ভাতের মাড় একটা পাত্রে নিয়ে ঠান্ডা করে ফ্রিজে রেখে ব্যবহার করতে পারেন।

১. ত্বক উজ্জ্বল করে: চাল ধোয়া পানি বা ভাতের মাড়ে আছে ভিটামিন বি, সি ও ই, যা ত্বকের কালো দাগ কমিয়ে ত্বক উজ্জ্বল করে।
২. অ্যান্টি-এজিং: চাল ধোয়া পানি বা ভাতের মাড় অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ, যা ফ্রি-র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। আর ত্বক সজীব রাখতে সহায়তা করে।
৩. প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার: চাল ধোয়া পানি বা ভাতের মাড় ত্বক কোমল করে, পুষ্টি জোগায়।
৪. অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ: ত্বকে র্যাশ বা লাল লাল ভাব, ফুলে ওঠার বিরুদ্ধে কাজ করে। ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ করে ও ওপরের স্তর পরিষ্কার রেখে ব্রণ রুখে দিতেও সহায়ক।