মাঠে নামার আগে নিজেদের ঝালাই করে নেওয়ার জন্য মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু প্রস্তুতি ম্যাচেই ফুটে উঠেছে তাদের ব্যর্থতা।পাকিস্তান শাহিনসের বিপক্ষে ব্যাট হাতে কেবল লড়তে পেরেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। বল হাতেও তিনি পেয়েছেন উইকেট। তবে বাকিদের ব্যর্থতায় হারতে হয় ৭ উইকেটে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে প্রস্তুতি ম্যাচে আজ দুবাইয়ের আইসিসি ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত। ৩৮.২ ওভারে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ফেলে আগে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ। ২০২ রানে শেষ হয় তাদের ইনিংস। জবাব দিতে নেমে ৪১ ওভারে এই রান তাড়া করে ফেলে শাহিনস।
তৃতীয় বলে তানজিদ হাসান তামিমকে হারিয়ে শুরু হয় বাংলাদেশের ইনিংস। তিনে নেমে নাজমুল হাসান শান্ত সঙ্গ দেন সৌম্য সরকারকে। যদিও ধীরগতিতে ব্যাট চালাতে থাকেন তিনি। তবুও টেকেননি বেশিক্ষণ। ২১ বলে ১২ রান করে ফেরেন সাজঘরে। সৌম্যর কপাল পুড়ে রান আউটে। ৩৮ বলে ৩৫ রান করেন তিনি।
চারে নামা মিরাজ একপ্রান্তে লড়াই চালান। অপরপ্রান্তে তাওহীদ হৃদয় এসে যোগ করেন ২০ রান। এরপর মুশফিকুর রহিম ৭ রান করে উসামা মিরের শিকার হন। পাকিস্তানি এই বোলার শিকার করেন মিরাজকেও। দলের হয়ে ৫৩ বলে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন এই ব্যাটার। আটে নেমে ব্যর্থ হন জাকের আলি। স্রেফ ৪ রান করেন তিনি। রিশাদের ব্যাট থেকে আসে ১৪ রান।
নয়ে নেমে তানজিম সাকিব কিছুক্ষণ লড়াই চালান। ২৭ বলে ৩০ রান করেন তিনি। শেষদিকে নাসুম আহমেদের ব্যাট থেকে আসে ১৫ রান। আর ৭ বলে ৪ রান করে অপরাজিত থাকেন তাসকিন আহমেদ। পাকিস্তানের পক্ষে ৪ উইকেট নেন উসামা। তিনটি উইকেট নেন মুবাসসির খান।
রান তাড়ায় নেমে পাকিস্তানের শুরুটা অবশ্য খুব ভালো হয়নি। ১০ ওভারের মধ্যে তারা হারিয়ে ফেলে দুই উইকেট। নাহিদ রানা ও মিরাজ পান একটি করে উইকেট। পরে আরও একটি উইকেট হারায় শাহিনস। কিন্তু বাকি সময়টা আর উইকেট হারাতে হয়নি। ৪১ ওভারে তারা পৌছে যায় জয়ের বন্দরে।