না ফেরার দেশে চলে গেলেন ঢাকাই সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেতা ও সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় মারা যান তিনি। তার মৃত্যুতে চলচ্চিত্র অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এ দিন কিংবদন্তি চিত্রনায়ক ফারুকের মৃত্যুর খবরে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে শোক প্রকাশ করেছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রোজিনা।
তিনি বলেন, ‘শুধু আমার নায়ক নন, ফারুক ভাই ছিলেন আমাদের চলচ্চিত্রের একজন অভিভাবক। আজ সকালে যখন তার মৃত্যুর খবরটি পাওয়ার পর কান্না চেপে রাখতে পারিনি। বুকের ভেতর হাহাকার করে উঠল। মনে হচ্ছে পৃথিবীটা শূন্যতায় ভরে গেল।
সংবাদমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে কথাগুলোর বলার সময় অঝোরে চোখের পানি ফেলে আক্ষেপের সুরে অভিনেত্রী বলেন, আমাদের মিয়া ভাই অবশেষে চলেই গেল!
ফারুককে নিয়ে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে রোজিনা বলেন, নায়ক বা সহশিল্পী বলি, যেটাই হোক ফারুক ভাই অসম্ভব একজন কর্মঠ মানুষ ছিলেন। মুখের উপর সত্য কথাটা খুব সুন্দরভাবে বলে দিতে পারতেন। আমার দেখা এমন স্বভাবের মানুষ খুব কমই আছে। চলচ্চিত্রের দুর্দিনে তিনিই তো হুংকার দিয়ে এফডিসিতে এগিয়ে এসে, সবাইকে এক করে নতুন করে কাজের উদ্যম দিয়েছিলেন।
অভিনেত্রী আরও বলেন, এতদিন ফারুক ভাই সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তবুও মনে হতো তিনি আমাদের পাশে আছেন, কিন্তু এখন তো একেবারেই আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। তার এমন মৃত্যুতে চলচ্চিত্র ইন্ডাষ্ট্রি শক্তিমান একজন অভিভাবকে হারালো। এমন বলিষ্ঠ অভিভাবক চলচ্চিত্রে আর আসবে না। যেখানেই থাকুন ভালো থাকুন ফারুক ভাই।
‘লাঠিয়াল’-সহ একাধিক সিনেমায় ফারুকের সঙ্গে জুটি বেঁধে কাজ করেছিলেন রোজিনা। এরমধ্যে রয়েছে ‘হাসু আমার হাসু’, ‘মান অভিমান’, ‘সুখের সংসার’, ‘সাহেব’, ‘শেষ পরিচয়’-সহ অনেক সিনেমা। সবগুলোই ছিল সামাজিক গল্পের সিনেমা। সে সময় ফারুক-রোজিনাকে জুটি হিসেবে বেশ ভালো ভাবেই গ্রহণ করেছিলেন সিনেমাপ্রেমীরা।