শীতের এই সময়টাতে অনেকেই ঠাণ্ডা-জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। সুস্থ থাকতে এখন থেকেই শরীরের যত্ন নিতে হবে।না হলে শীত বাড়তে থাকলে এ হালকা ঠান্ডা-জ্বর আর হালকা থাকবে না।
কাশি-শ্বাসকষ্ট এমনকি নিউমোনিয়াও হতে পারে।
জ্বর হলে
• জ্বর হলে দু-একদিন বিশ্রাম নিন
• আক্রান্ত ব্যক্তির গ্লাস, প্লেট, তোয়ালে, বালিশ, চিরুনি অবশ্যই আলাদা করে দিন
• যদি নাকবন্ধ থাকে, গরম পানিতে সামান্য মেন্থল দিয়ে শ্বাস নিন
• গোসলে হালকা গরম পানি ব্যবহার করুন
• গোসলের পর খুব ভালো করে শরীর-মাথা মুছে নিন
• হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে চুল শুকিয়ে নিন
• সর্দি হলে নাকে অলিভ অয়েল বা পেট্রোলিয়ম জেলি লাগিয়ে নিন
• জ্বর হলে সাধারণত খাবার খাওয়ার রুচি থাকে না, না খেলে আরও অসুস্থ হয়ে যাবেন
• এ সময় তরল খাবার বেশি বেশি খেতে হবে
• ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল (লেবু, কমলা, আমলকী, পেয়ারা) খান
• ধুলাবালি থেকে দূরে থাকুন
• হাত সব সময় পরিষ্কার রাখুন
ছোটদের সকালে স্কুল থাকলে এখন থেকেই হালকা শীতের পোশাক পরিয়ে দিন। বড়রাও সঙ্গে শীতের পোশাক রাখুন, সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার সময় ঠান্ডা বাতাসে কষ্ট হবে না।
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ কামরুল হাসান বলেন, এ সময়ের হালকা ঠাণ্ডা-জ্বর এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। তবে জ্বর যদি খুব বেশি হয়, সঙ্গে শ্বাসকষ্ট থাকে তাহলে, দিনে অন্তত চারবার জ্বর মেপে লিখে একটি চার্ট করে রাখুন। তিনদিনের মধ্যেই কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
চিকিৎসকের পরামর্শ ছকোনো ওষুধ না গ্রহণ না করার পরামর্শ দেন তিনি।