শেষটা মলিন হলেও বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল স্বপ্নের মতো। যার পুরো কৃতিত্ব হাসান মাহমুদের।ডানহাতি এই পেসার দলীয় ৩৪ রানের ভেতরই সাজঘরে পাঠান ভারতের তিন ব্যাটারকে। রোহিত শর্মা, শুভমান গিল ও বিরাট কোহলি— সবাই তার বলে ক্যাচ দিয়েছেন উইকেটের পেছনে।
লাঞ্চের পর ঋষভ পান্তকেও শিকার করেন হাসান। ৫৮ রানে ৪ উইকেট তাই দিনের সেরা বোলার তিনি। দিনশেষে ভারতের হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল। সেখানেও ওঠে হাসানের প্রসঙ্গ।
জয়সওয়াল বলেন, ‘আমার মতে, সে সত্যিই ভালো বল করেছে। যদিও মাঝেমধ্যে কিছু আলগা ডেলিভারি করেছে যার ফলে আমরা রান করতে পেরেছি। এমনকি এখনো আমরা পায়ের ব্যবহার কীভাবে করা যায় সেটা নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। রান করার জন্য আলগা বলের অপেক্ষায় ছিলাম আমরা, জুটি তৈরি ও যতটা সময় সম্ভব খেলার চেষ্টা করেছিলাম। ’
‘আবহাওয়া কিছুটা মেঘলা ছিল এবং আমি মনে করি, উইকেট কিছুটা সহায়তা করেছে তাদের। তাই আমরা সাবধানী থেকে সেই সময়টা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। অবশ্যই তারা ভালো বোলিং করেছে। ’
অভিষেকের পর থেকেই টেস্ট ক্রিকেটে দারুণ ছন্দে আছেন জয়সওয়াল। রোহিত-কোহলিরা ব্যর্থ হলেও চেন্নাইয়ে হেসেছে তার ব্যাট। যদিও ফিফটির পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ১১৮ বলে ৯ চারে ৫৬ রানে ফেরেন বাঁহাতি এই ওপেনার।
নিজের ইনিংস নিয়ে তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে, এই ধরনের কন্ডিশনে খেলে আমার কাছে অসাধারণই লেগেছে। এটি আমাকে আরও শক্তিশালী করবে এবং আমি আরও শিখব যে এই ধরনের কন্ডিশনে কীভাবে খেলা যায়। আমার চেষ্টা থাকে দলের চাহিদামতো ব্যাট করার। ’
বাজে শুরুর পরও রবিচন্দ্রন অশ্বিনে সেঞ্চুরি (১০২*) ও রবীন্দ্র জাদেজার (৮৬*) ফিফটিতে চড়ে দিনটা নিজেদের করে নিয়েছে ভারত। ৬ উইকেটে ৩৩৯ রান নিয়ে কাল দ্বিতীয় দিন শুরু করবে তারা।