কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের রায়কোট দক্ষিণ ইউনিয়নের বাসন্ডা গ্রামের সরকারি পুরস্কারপ্রাপ্ত মেসার্স আবুল কাশেম ফিশারিজের ৭০টি পুকুরের মাছ বন্যার পানিতে সম্পূর্ণ ভেসে গেছে। এতে প্রায় ৩ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন ফিশারিজের স্বত্বাধিকারী ওমর ফারুক।
নাঙ্গলকোটে মৎস্য প্রজনন ও চাষে ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান মেসার্স আবুল কাশেম ফিশারিজ দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে দক্ষতার সঙ্গে মৎস্য চাষ প্রকল্প পরিচালনা করে আসছেন। এবারের বন্যায় তাদের ৭০টি পুকুরে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় দেড় টন ডিমের মাছ ও খামারে গুলশা, টেংরা, শিং, পাবদা মাছের ১ কোটি ৫০ লাখ পোনা বন্যায় ভেসে গেছে।
খামারের স্বত্বাধিকারী ওমর ফারুক বলেন, নিজেদের পুঁজি, ব্যাংক ঋণ ও ধারদেনা করে ৭০টি পুকুরে বিভিন্ন জাতের প্রায় দেড় টন ডিমের মাছ সংরক্ষণ করেছিলাম। এছাড়াও খামারে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ মাছের পোনা মজুদ ছিল। আকস্মিক বন্যায় আমার সবগুলো পুকুরের প্রায় ৩ কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে। আমি এখন দিশেহারা। মানুষের থেকে নেওয়া ঋণ অনেক টাকা, খাদ্য ব্যবসায়ীদের পাওনা প্রায় ৪০ লাখ টাকা, ব্যাংক ঋণ ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা কীভাবে শোধ করব? আমাদের এ বিপদে সরকার ও সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করছি।
নাঙ্গলকোট উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ইসরাত জাহান বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত খামারি লিখিত আবেদন করলে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে তাদের সহযোগিতার বিষয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাব।