ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ কমপ্লেক্সে দুর্বৃত্তদের হামলার প্রতিবাদে এবং জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন এই গ্রুপভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর সাংবাদিক-কর্মকর্তারা। তারা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হামলায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।অন্যথায় দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় প্রতিবাদের ঝড় উঠবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ কমপ্লেক্সের সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন নন্দিত কথাসাহিত্যিক ও দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, ডেইলি সানের প্রধান সম্পাদক এনামুল হক চৌধুরী, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের সম্পাদক জুয়েল মাজহার, ডেইলি সানের সম্পাদক রেজাউল করিম লোটাস, নিউজ টোয়েন্টিফোরের নির্বাহী সম্পাদক রাহুল রাহা, কালের কণ্ঠের উপ-সম্পাদক হায়দার আলী, পরিকল্পনা সম্পাদক মাহবুবুল হক, সহকারী সম্পাদক আলী হাবিব, রেডিও ক্যাপিটালের সমন্বয়ক রুহুল আমিন রাসেলসহ সাংবাদিক-কর্মকর্তারা।
কর্মসূচিতে সাংবাদিকরা বলেন, সন্ত্রাসীদের বলবো আপনারা ভালো হয়ে যান। যদি আমাদের ওপর চোখ রাখেন, তাহলে জনগণ আপনাদের নির্মূল করবে। সন্ত্রাসীদের আর কোনো ছাড় নয়। আমরা জানাতে চাই, আমরা সাংবাদিকরা অস্ত্র হাতে নেব না। আমাদের কলম আছে, আমরা সত্যটা লিখতে চাই।
কালের কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন বলেন, ‘আমি প্রথমে ধন্যবাদ জানাই যে, আপনারা সবাই একত্রিত হয়েছেন। আমি মনে করি, একত্রিত হওয়াটাই আমাদের বড় শক্তি। গতকাল (সোমবার) আমাদের মিডিয়ার ওপর যে আক্রমণ হয়েছে সেটা ন্যক্কারজনক। আমি এই দুর্বৃত্তদের উপযুক্ত বিচার ও শাস্তি দাবি করি। এই ধরনের হামলা করে এতো বড় মিডিয়া হাউজের কণ্ঠরোধ করা যাবে না। যে যত চেষ্টাই করুক আমরা একত্র আছি। একত্র থাকবো বলেই বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমরা কাজ করি। ’
তিনি বলেন, ‘গতকালের আক্রমণের পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আমাদের জন্য সহানুভূতি ব্যক্ত করেছে। এর পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন নেতা আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, তারা আমাদের মিডিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। সুতরাং আমরা মনে করি, আমাদের পাশে সমগ্র দেশ আছে। আমরা কলম দিয়ে লিখে নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রাখি। আমরা সত্য কথা বলি। আমরা সাদাকে সাদা এবং কালোকে কালো বলি। আমরাই প্রথম বেনজীর আহমেদের মতো দুর্বৃত্তকে ধরেছিলাম। আমাদের কলম সচল থাকবে। আমাদের ক্যামেরা সচল থাকবে। আমাদের কর্মী ভাইয়েরা সচল থাকবে। কোনো ভয়ের কাছে আমরা মাথা নত করবো না। আমরা কোনো ভয়ভীতি মানবো না। আমরা আমাদের কাজটি সঠিকভাবে পালন করবো। ’
ডেইলি সানের প্রধান সম্পাদক এনামুল হক চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের এ ঐক্য ও দৃঢ়তা যেন সবসময় প্রকাশ পায়। আমরা এক থাকবো। কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দেখামাত্র আমরা তাদের প্রতিরোধ ও মোকাবিলা করবো। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আমাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে। আমরা তাদের সম্মান জানাই। এখানে অন্য কোনো শক্তি কাজ করছে। তারা নিজেদের স্বার্থে এসব হামলা চালাচ্ছে। কাজেই ছাত্রদের আন্দোলনের সঙ্গে এখানকার আক্রমণের কোনো সম্পর্ক নেই। এই হামলা হলো কিছু দুষ্কৃতকারীর হামলা। তাই এই দুষ্কৃতকারীদের আমরা কোনো সময় কোনো প্রকার আশ্রয়-প্রশ্রয় ও জায়গা দেবো না। ’
বাংলানিউজের সম্পাদক জুয়েল মাজহার বলেন, ‘আমাদের ওপর কাল যে হামলা হয়েছে সেই হামলার নিন্দা জানানোর ভাষাও আমাদের নেই। আমাদের গণমাধ্যমের শক্তির ওপর হামলা হয়েছে। এখানে যারা কর্মরত সাংবাদিক আছেন তাদের কলমের বিরুদ্ধে লাঠি এসেছে। কলমকে কখনো লাঠি দিয়ে রুদ্ধ করা যাবে না। অস্ত্র দিয়ে কণ্ঠকে রুদ্ধ করা যাবে না। ’
তিনি আরও বলেন, ‘বসুন্ধরার মিডিয়া গ্রুপের আমরা সব সদস্য ঐক্যবদ্ধ রয়েছি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা এসে আমাদের সঙ্গে ঐক্য প্রকাশ করেছেন। আমরা তাদের অভিনন্দন জানাই। তারা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, এই সন্ত্রাসীরা ঘোলা জলে মাছ শিকার করতে চাচ্ছে। যারা হামলা চালাচ্ছে এরা কখনোই সত্যের পক্ষে নয়। এরা অসত্য ও অন্যায়ের পক্ষে অবস্থান করে। সন্ত্রাস দিয়ে সত্যকে কখনো রুদ্ধ করা যায় না। আমরা সত্যনিষ্ঠ থাকবো। আমরা কখনোই অন্যায়ের কাছে আপস করবো না। আমরা প্রতিরোধ করবো। আমরা সরকারের কাছে আবেদন জানাবো, সরকার যেন সমস্ত মিডিয়ার নিরাপত্তায় সঠিক ও কার্যকর ব্যবস্থা নেয়। ’
নিউজ টোয়েন্টিফোরের নির্বাহী সম্পাদক রাহুল রাহা বলেন, ‘আমরা আজকে এখানে ভয় পেয়ে একত্রিত হইনি। আমরা কোনো চাপের মুখে একত্রিত হইনি। আমরা আমাদের পেশার স্বাধীনতা রক্ষার জন্য একত্রিত হয়েছি। ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়ার ওপর যে হামলা হয়েছে, এখানে প্রায় প্রত্যেকটি গাড়ি ভাঙা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের যে কর্মীরা অল্প টাকা বেতন পান, তাদের মোটরসাইকেল ভেঙে ফেলা হয়েছে। আমাদের অফিসকে সুন্দর করার জন্য আমরা যেসব ডেকোরেশন ব্যবহার করি, সেগুলো ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। রেডিও ক্যাপিটালের ভেতর যেভাবে হামলা করা হয়েছে তাতে নারীকর্মীরা খুবই আতঙ্কিত হয়েছিলেন। তারা তখন রেডিওর ভেতরে কাজ করছিলেন, সেখানেও গিয়ে হামলা করার চেষ্টা করা হয়েছে। মোট কথা গতকাল এক ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব ঘটনা ঘটার পরও আমরা বিন্দুমাত্র ভয় পাইনি। আমরা যদি ভয় পেতাম তাহলে আমরা অফিসে আসতাম না। অফিসে হামলার ঘটনা শুনে প্রত্যেক কর্মী ছুটে এসেছেন। ’
তিনি আরও বলেন, ‘ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ যেহেতু গণমানুষের কথা বলে, সেহেতু এটা শুধু গণমাধ্যমের ওপর হামলা নয়। এটা বাংলার সব মানুষের ওপর হামলার চেষ্টা। আমরা সে চেষ্টা সাংবাদিকতা দিয়ে রুখে দেওয়ার চেষ্টা করব। সুযোগসন্ধানীরা ভেবেছে, ভয় দেখিয়ে আমাদের কলম বন্ধ করে দেওয়া হবে, ক্যামেরা বন্ধ করে দেওয়া হবে। আমি বলব তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে। আমি মনে করি তারা সামনে বুঝতে পারবে যে তারা কোথায় হাত দিয়েছে। আমি প্রশাসনকে বলতে চাই, আপনারা খুঁজে বের করুন কারা এ হামলা চালিয়েছে। আমাদের কাছে যে ভিডিও ফুটেজ রয়েছে তা আমরা সরবরাহ করতে প্রস্তুত। আমাদের একটাই কথা আমরা কোনো শক্তির কাছে মাথা নত করব না, আমরা মাথা উঁচিয়ে কাজ করব। ’
কালের কণ্ঠের উপ-সম্পাদক হায়দার আলী বলেন, ‘গণমাধ্যমের ওপর ন্যক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরাই দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রথম থেকে লিখে আসছেন। আমরা আগামীতেও লিখে যাবো, কোনো সন্ত্রাসীর হামলা আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না। ’
দৈনিক কালের কণ্ঠে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির খবর প্রকাশের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘আমরা যেভাবে বেনজীরের মুখোশ উন্মোচন করেছি, একইভাবে আগামীতে যে সরকারই আসুক, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কারও এক ফোঁটা ছাড় নেই। যেসব সন্ত্রাসী ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়ার ওপর হামলা করেছে, তাদের সবার চেহারা আমাদের সিসিটিভিতে আছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়াসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই আমরা ছাত্রদের পক্ষে ছিলাম। এই হামলার পর শিক্ষার্থীরা আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। আমাদের ওপর হামলার এই ঘটনা নিন্দনীয় বলেছেন তারা। পরবর্তী সময়ে আমাদের ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়ার ওপর যদি কেউ হামলা করতে আসে, তাহলে শিক্ষার্থীরা এর তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। সন্ত্রাসীদের মতো আমরা হামলা করতে জানি না, আমাদের কলম আছে আমরা কলম দিয়ে লিখতে জানি। ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ সবসময় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অন্যায়ের বিরুদ্ধে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিল এবং থাকবে। ’
কালের কণ্ঠের সহকারী সম্পাদক আলী হাবিব বলেন, ‘আমরা সবসময় মানুষের পক্ষে কথা বলেছি। আমরা মানুষের কথা তুলে ধরেছি। মানুষের দাবির পক্ষে আমরা কথা বলেছি। কিন্তু যে ঘটনাটি গতকাল ঘটে গেল, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা কারা তাদের মুখোশ উন্মোচন করা প্রয়োজন। আমরা দাবি জানাচ্ছি, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মুখোমুখি করা হয়। ’
রেডিও ক্যাপিটালের সমন্বয়ক রুহুল আমিন রাসেল বলেন, ‘গতকাল (সোমবার) দুপুর বেলায় একটি সন্ত্রাসী দল মিছিল সহকারে স্লোগান দিতে দিতে আমাদের প্রিয় কর্মস্থল ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া কমপ্লেক্সে মধ্যযুগীয় নারকীয় হামলা চালিয়েছে। আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করছি। তারা ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া কমপ্লেক্সের রেডিও ক্যাপিটালের ভেতরে মধ্যযুগীয় কায়দায় বর্বর হামলা চালিয়েছে। আমাদের জুনিয়র সহকর্মী ও নারী সহকর্মীদের ওপর আঘাত হেনেছে। আমরা এই ধরনের নারকীয় তাণ্ডবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ’
তিনি আরও বলেন, ‘গণমাধ্যম মানুষের শেষ ভরসার আশ্রয়স্থল। আমরা মনে করি, মানুষের ভরসার আশ্রয়স্থলে এই হামলা গণতন্ত্র ও সংবিধানের ওপর হামলা। কারণ সংবিধান ও গণতন্ত্র রক্ষায় গণমাধ্যমের রয়েছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। এই ভূমিকা যারা ব্যাহত করতে চায়, যারা গণতন্ত্র নষ্ট করতে চায়, আমাদের মহান সংবিধানকে নস্যাৎ করতে চায়, তারাই এই হামলার সঙ্গে জড়িত। আমরা অবিলম্বে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে বিনীত অনুরোধ করছি, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে দ্রুত তাদেরকে গ্রেফতার করুন। অন্যথায় সারা দেশের গণমাধ্যমকর্মীরা রাজপথে সোচ্চার প্রতিবাদ জানাবেন। ’
কর্মসূচিতে কালের কণ্ঠ, বাংলাদেশ প্রতিদিন, বাংলানিউজ, ডেইলি সান, নিউজ টোয়েন্টিফোর, টি-স্পোর্টস ও রেডিও ক্যাপিটালের সাংবাদিক-কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তারা দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের স্লোগান দেন এবং হামলায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান সরকারের কাছে।
গতকাল সোমবার দুপুরে আকস্মিকভাবে একদল দুর্বৃত্ত হকিস্টিকসহ লাঠিসোঁটা নিয়ে ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া কমপ্লেক্সে হামলা চালায়। তারা স্লোগান দিতে দিতে জোরপূর্বক প্রধান ফটক খুলে ভেতরে প্রবেশ করে। এক পর্যায়ে শুরু হয় ভাঙচুর। দুর্বৃত্তরা রেডিও ক্যাপিটালের ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। সেখানে টেবিল, কম্পিউটার, এসি সবকিছুতে ভাঙচুর চালানো হয়।
পরে বাইরে এসে কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে রাখা ২০-২৫টি গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। এ ছাড়া ভবনের কাচের দেয়াল ও দরজা ভেঙে ফেলা হয়। গোটা মিডিয়া হাউসে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এতে কেউ হতাহত না হলেও ভবন ও মিডিয়া প্রাঙ্গণে থাকা গাড়িগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ ঘটনার পর ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ কমপ্লেক্সে ছুটে আসেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি ও ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশসহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী। তারা এসময় বলেন, গণমাধ্যমের ওপর যে হামলা হচ্ছে তাতে শিক্ষার্থীরা জড়িত নন। এই হামলাগুলো কিছু দুষ্কৃতকারী নিজেদের স্বার্থরক্ষায় করে আসছে। গণমাধ্যমের ওপর হামলা রুখে দিতে শিক্ষার্থীরা প্রস্তুত।
এছাড়া ঘটনাটির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন সাংবাদিকরা। সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশার সংগঠন ও রাজনৈতিক দলও ঘটনাটির কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি তুলেছে।