সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানার মেয়ে যুক্তরাজ্যের নগরমন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে গুম হওয়া এক আইনজীবীর মুক্তিতে সাহায্য না করার অভিযোগ উঠেছে।
এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ।
ভুক্তভোগী আইনজীবী হলেন, ৪০ বছর বয়সী আহমাদ বিন কাসেম আরমান। তিনি জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর ছেলে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৬ সালে তিনি গুম হন।
তার আইনজীবী বলেন, টিউলিপ সিদ্দিক তার ব্যক্তিগত যোগাযোগ ব্যবহার করে তাকে আট বছরের গোপন কারাবাস (আয়নাঘর) থেকে মুক্তি দিতে পারতেন।
শেখ হাসিনার শাসনামলে শতশত লোক গুমের শিকার হন। গত ৫ আগস্ট তার সরকারের পতন হলে তিনি দেশে ছেড়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পালিয়ে যান।
তার শাসনামলে বিরোধীদের ওপর আক্রমণ করা হয়, তাদের গ্রেপ্তার করা হয় এবং গোপনে বন্দি করা হয়। চালানো হয় আইন বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড।
টিউলিপের বিরুদ্ধে ওই আইনজীবীকে সাহায্য না করার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হলো এমন সময়ে, যখন তার বিরুদ্ধে ‘নিজের বাসা ভাড়া দিয়ে খালা শেখ হাসিনার সহযোগীর দুই মিলিয়ন পাউন্ডের একটি বাড়ি ভাড়া’ নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে।
আরমান গুম হওয়ার এক বছর আগে সিদ্দিক সাংবাদিকদের বলেছিলেন, তিনি ২০১৫ সালে হ্যাম্পস্টেডের একজন এমপি হিসাবে নির্বাচিত হন, তার খালার কাছ থেকে তিনি সবচেয়ে বেশি শিখেছিলেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আরমানকে ‘বন্দিদশা’ থেকে মুক্ত করতে যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টার ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি টিউলিপের কাছে সাহায্য চেয়েছিল তার পরিবার। তবে ব্রিটেনে পড়াশোনা করা আরমানকে সাহায্য করতে ব্যর্থ হন টিউলিপ।
আরমানের আইনজীবী মাইকেল পোলাক বলেন, আমরা টিউলিপকে তার খালা শেখ হাসিনার সঙ্গে আরমানের মুক্তির বিষয়ে কথা বলতে অনুরোধ করেছিলাম। এ অনুরোধ আমার ও আরমানের মায়ের পক্ষে থেকে করা হয়। দুর্ভাগ্যবশত টিউলিপ সাহায্য না করার সিদ্ধান্ত নেন।
আরমান লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন। হাসিনার সরকারের পতনের পরে সেনাবাহিনী একটি কুখ্যাত আটক কেন্দ্র থেকে তার মুক্তির আদেশ দেওয়ার পরে অবশেষে চলতি মাসে মুক্তি পান।