প্রধান বিচারপতির পদ থেকে ওবায়দুল হাসানের পদত্যাগের পর এ পদে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে আশফাকুল ইসলামের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা এ ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করেছেন।তারা বিচারপতি সৈয়দ রিফাত আহমেদকে প্রধান বিচারপতি করার দাবি জানিয়েছেন। এ জন্য আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা, বলেছেন রোববার (১০) আগস্ট সকাল ৯টার মধ্যে এ সংক্রান্ত ঘোষণা দিতে হবে।
শনিবার (১০ আগস্ট) হাইকোর্টের সামনে শিক্ষা চত্বর থেকে এ দাবি জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার।
এর আগে আপিল বিভাগের বিচারপতিদের পদত্যাগের দাবিতে হাইকোর্টের পাশে শিক্ষা চত্বরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবির মুখে পদত্যাগ করেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। তার স্থলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে আশফাকুল ইসলামকে নিয়োগ দেওয়া হলে শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখ্যান করেন।
বিকেলে তাৎক্ষণিক একটি সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেন শিক্ষার্থীরা। সন্ধ্যার মধ্যে সৈয়দ রিফাত আহমেদকে প্রধান বিচারপতি করার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ছাত্র-জনতার রক্ত দিয়ে আমরা ‘খুনি’ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছি। আমরা দেখছি বিচার বিভাগীয় ক্যু করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছিল শেখ হাসিনার নিয়োগকৃত বিচারপতি। পরে আন্দোলনের মুখে প্রধান বিচারপতি পদত্যাগ করেছেন। তার স্থানে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বিচারপতি আশফাকুল ইসলামকে, যিনি গত ১৫ বছর ধরে শেখ হাসিনাকে সার্ভ করেছেন। আগামীকাল সকালের মধ্যেই সৈয়দ রিফাত আহমেদকে তার স্থলে নিয়োগ দিতে হবে।