বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একদফা দাবির মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ পরবর্তী রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দুদিন পর কয়েক ঘণ্টার জন্য অফিস করলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। আর তিন নির্বাচন কমিশনার অফিস করেননি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে নির্বাচন ভবনে আসেন সিইসি। আর চলে যান ৩টার দিকে। এছাড়া নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান পুরো সময় অফিস করেন। তবে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর, রাশেদা সুলতানা ও মো. আনিছুর রহমান অফিস করেননি।
সোমবার (৫ আগস্ট) শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সিইসি, চার নির্বাচন কমিশনার, সচিব, অতিরিক্ত সচিব নির্বাচন ভবনে আসেননি। তবে অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হামলা আতঙ্কে একবার ভবনের নিচে নেমে আসেন। পরে দুপুর ১টা না হতেই সবাই চলে যান।
বুধবার (৭ আগস্ট) সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান অফিসে আসেননি। তবে ওইদিন নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান, মো. আলমগীর ও রাশেদা সুলতানা অফিস করেন। এসেছিলেন ইসি সচিব শফিউল আজিম ও অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথসহ অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও।
সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থাপনা, থানায় হামলার আতঙ্ক এখনো মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে। পুলিশ এখনো কাজে যোগ দেয়নি। সড়কে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা গেছে ছাত্রদের।
এদিকে নির্বাচন ভবনে ছাত্র-জনতার ব্যানারে এক দল লোক নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে ব্যানার টানিয়ে গেছেন। এতে লেখা হয়েছে- বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা হত্যা ও গণহত্যার দায়ে সকল নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ করতে হবে।