চলন্ত লঞ্চ থেকে পড়ে মেঘনা নদীতে ৯ ঘণ্টা ভেসে থাকা জোহরা বেগম (৩৮) মারা গেছেন।
সোমবার (৮ মে) সকালে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
গত বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঠান্ডার বাজার এলাকায় মেঘনা নদীতে পড়ে যান জোহরা বেগম। ৯ ঘণ্টা নদীতে ভেসে থাকার পর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে একটি নৌকার জেলেরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে জোহরাকে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শে স্বজনেরা তাকে ঢাকায় নিয়ে যান।
জোহরার দেবর মাইদুল ইসলাম মৃধা বলেন, ভাবি চলন্ত লঞ্চ থেকে পড়ে বাঁচার জন্য ৯ ঘণ্টা মেঘনা নদীতে ভেসে ছিলেন। তখন বেঁচে ফিরলেও এখন আর বেঁচে নেই। চিকিৎসকেরা বলেছেন, রাতভর নদীতে থাকার কারণে তিনি ট্রমায় ছিলেন। পায়ের আঘাতটা গুরুতর ছিল। প্রচুর রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।
জোহরার মা নার্গিস বেগম বলেন, আমরা জোহরাকে বাঁচানোর জন্য অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু বাঁচাতে পারলাম না। ওর দুই ছেলে ও এক মেয়ে মা হারা হয়ে গেল।
কুচাইপট্টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন স্বপন বলেন, জোহরা জীবন বাঁচাতে সাহসের সঙ্গে ৯ ঘণ্টা মেঘনা নদীতে ভেসে ছিলেন। সবার সহযোগিতায় তার উন্নত চিকিৎসা চলছিল। তবে সব চেষ্টা বিফল হলো।