ম্যাচের পর ম্যাচ প্রথমার্ধ ও দ্বিতীয়ার্ধে খেলা শুরু করতে দেরি করায় ম্যানচেস্টার সিটিকে জরিমানা করেছে প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ। ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ মৌসুমে মোট ২২ বার নির্ধারিত সময় পার করার কারণে মোট ১২ লাখ ৪০ হাজার ইউরো জরিমানা হয়েছে দলটির। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকার বেশি।
জরিমানার আওতায় থাকা দুই মৌসুমসহ সর্বশেষ চার বছরই প্রিমিয়ার লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সিটি। খেলা শুরুর বিলম্বের দায় স্বীকার করে সাজা মেনে নিয়েছে ক্লাবটি।
আজ প্রিমিয়ার লিগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রথমার্ধ ও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বিলম্বের বেশ কিছু ঘটনার শাস্তির বিষয়ে লিগ কর্তৃপক্ষ ও ম্যানচেস্টার সিটি সমঝোতায় এসেছে। ‘২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ–সম্পর্কিত নিয়মের লঙ্ঘন’ করা হয়েছে জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, সিটি প্রিমিয়ার লিগ আইনের এল৩৩ ধারা ভঙ্গ করেছে। সংশ্লিষ্ট ধারায় ‘যথাযথ কারণ ছাড়া কিক-অফ (ম্যাচের শুরু) ও রি-স্টার্টে (সাধারণত দ্বিতীয়ার্ধের শুরু) বিলম্বের ক্ষেত্রে শাস্তি আরোপের বিধান আছে।
উল্লিখিত দুই মৌসুমে সিটি মোট ২২ বার নির্ধারিত সময়ের পর খেলা শুরু করে। এর বেশির ভাগ এক থেকে দুই মিনিটের মধ্যে। সবচেয়ে বেশি দেরি করা হয় ২০২৩-২৪ মৌসুমে ইতিহাদে ওয়েস্ট হামের বিপক্ষে ম্যাচে। সেদিন খেলা শুরু করা হয় ২ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড দেরিতে। এটি ছিল প্রিমিয়ার লিগ মৌসুমের শেষ দিন। ওয়েস্ট হামের বিপক্ষে সিটির সমীকরণ ছিল লিগ জিততে ম্যাচ জিততেই হবে। ড্র করলে বা হারলেই তাকিয়ে থাকতে হবে একই সময়ে শুরু হওয়া আর্সেনাল-এভারটন ম্যাচের দিকে।
সেদিন ওয়েস্ট হামকে ৩-১ গোলে হারিয়ে টানা চতুর্থ লিগ শিরোপা জেতে সিটি।