ইনজুরির কারণে ফাইনালে খেলতে পারেননি প্রথমার্ধের বেশি। কিন্তু তার দল স্পেন ঠিকই পেয়েছে শিরোপার দেখা।ইংল্যান্ডকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে ১২ বছর পর ইউরোর চ্যাম্পিয়ন হলো তারা। রদ্রিকে তা-ই উল্লাস করতেই দেখা গেছে। সেই উদযাপনে বাড়তি মাত্রা যোগ হয়েছে যখন তিনি জিতলেন টুর্নামেন্ট-সেরার পুরস্কার। এছাড়া সেরা তরুণ ফুটবলারের পুরস্কার পেয়েছেন ‘বিস্ময়-বালক’ খ্যাত লামিন ইয়ামাল।
স্পেন শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছে অপরাজিত থেকেই। ৭ ম্যাচের ৭টিতেই জয়ের দেখা পেয়েছে তারা। এর মধ্যে একটি বাদে সবগুলো ম্যাচেই শুরুর একাদশে ছিলেন রদ্রি। মাঝমাঠে দলের প্রাণ ছিলেন এই মিডফিল্ডার। নিজ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটিতে গত মৌসুমে দারুণ ছন্দে ছিলেন তিনি। সেই ধারা টেনে আনলেন ইউরোতেও। এবারের আসরে ৪১১টি পাস পূর্ণ করে তার সফলতা ছিল ৯২.৮ শতাংশ।
প্রতিপক্ষের কাছ থেকে (৩৩ বার) বল দখলে নেওয়ার ব্যাপারেও দারুণ শৈলী দেখিয়েছেন রদ্রি। শেষ ষোলোয় জর্জিয়ার বিপক্ষে পিছিয়ে যাওয়ার পরও তার গোলে সমতায় ফিরেছিল স্পেন। এরপর মাঠ ছাড়ে ৪-১ গোলের জয় নিয়ে। এছাড়া কোয়ার্টার ফাইনালে স্বাগতিক জার্মানি ও সেমিফাইনালে ফ্রান্সকে হারাতে অনবদ্য ভূমিকা রাখেন এই মিডফিল্ডার।
আর ইয়ামালকে নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই। একের পর এক ম্যাচে মুগ্ধতার রেশ ছড়িয়ে যাচ্ছেন সদ্য ১৭তম জন্মদিন পালন করা এই ফরোয়ার্ড। ফাইনালেও বাদ যায়নি। তার অ্যাসিস্ট থেকেই স্পেনের প্রথম গোলটি করেন নিকো উইলিয়ামস। একটি গোল ও সর্বোচ্চ চারটি অ্যাসিস্ট নিয়ে আসর শেষ করেন ইয়ামাল। এর আগে এক আসরে সর্বোচ্চ চারটি করে অ্যাসিস্টের রেকর্ড আছে স্টিভেন জুবের (২০২০), আরন রামসে (২০১৬), এদেন হাজার্ড (২০১৬) ও জুবিঙ্কো দ্রুলোভিচের (২০০০)।
ফাইনালে খেলতে নেমেই অবশ্য ইতিহাসে নাম লিখিয়েছেন ইয়ামাল। সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে মেজর টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলে ভেঙেছেন কিংবদন্তি পেলের রেকর্ড। ১৯৫৮ বিশ্বকাপে ১৭ বছর ২৪৯ দিন বয়সে ফাইনাল খেলেছিলেন পেলে। ইয়ামাল আজ ইউরোর ফাইনাল খেলেন ১৭ বছর ১ দিন বয়সে।