বাংলাদেশে এখন ঘুরেফিরেই আসে অবসর প্রসঙ্গ। সিনিয়র ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স নিয়ে কথা উঠলেই তাদের খেলা ছাড়ার বিষয়টি সামনে আসে।এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর এই চর্চা হচ্ছে সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে।
টুর্নামেন্টে খুব একটা ভালো পারফর্ম করতে পারেননি তারা। বয়সও এখন দুজনেরই চল্লিশের দিকে ছুটছে। এ অবস্থায় তাদের অবসরের কথা বলছেন কেউ কেউ। তবে জাতীয় দলের সাবেক প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু মনে করেন, এই সিদ্ধান্ত খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত।
তিনি বলেন, ‘একটা খেলোয়াড় ব্যক্তিগতভাবে জানে কাকে, কখন অবসর নিতে হবে। এটা একান্তই ওদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এর বাইরে টিম ম্যানেজমেন্ট ও নির্বাচক প্যানেল আছে তারা পরিকল্পনা করবে কোনো খেলোয়াড়কে নিয়ে এগোনো যাবে। ’
‘আমার মনে হয় খেলোয়াড়দেরও পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা দেখা উচিত। আমি কতটুকু যেতে পারবো এটা চিন্তা করে এগোনো উচিত। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে সেরা পারফরম্যান্স করে খেলা ছেড়ে দিয়েছি। আমি জানি কতটুকু এগোতে হবে। ’
সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটা খেলেছে বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বের চার ম্যাচের তিনটিতেই জিতেছে তারা, এমন সাফল্য ছিল না আগে। যদিও সেমিফাইনালে উঠতে না পারায় সন্তুষ্ট নন অনেকে।
এ নিয়ে নান্নু বলেন, ‘সবমিলিয়ে আমাদের প্রত্যাশা যেটা ছিলো দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়া সেটা কিন্তু পূরণ হয়েছে। সুপার এইটে খেলা এটা কিন্তু একটা অর্জন। কারণ এই ফরম্যাটে আমরা কিন্তু মাঝখানে ৬ মাস খুব বেশি ভালো ক্রিকেট খেলতে পারিনি। এর আগে এক দেড় বছরে দ্বিপাক্ষিক সিরিজগুলো কিন্তু ভালো খেলেছে। বিশেষ করে ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে। ’