ছোটরা ভুল করবে, শিখবে। তাদের বেড়ে ওঠার পথটা সুন্দর করাই বড়দের দায়িত্ব।
কিন্তু অনেক বাবা-মা রয়েছেন, যারা শিশুর কোনো ভুল দেখলে আগে বকা দেন, অনেকে আবার হাসাহাসি করেন। এতে করে ছোট শিশুটির মনের ওপর পড়তে পারে নেতিবাচক প্রভাব।
শিশুর সঠিক ব্যক্তিত্ব গড়ে তুলতে, প্রথমে শিশুটির মন বুঝতে হবে। তার বয়স ও ধারণ করার সামর্থ্য অনুযায়ী তাকে বোঝাতে হবে। ছোট শিশুর অতিরিক্ত রাগ করা নিয়ে অনেক অভিভাবকই চিন্তায় থাকেন। চিন্তা না করে আগে শিশুর দিকে মনোযোগ দিন, আর নিচের বিষয়গুলো লক্ষ্য করুন:
শিশু কি তার সমস্যাগুলো ঠিকমতো বোঝাতে পারছে না? বাবা ও মার ওপর অতিরিক্ত রাগ অথবা অভিমান করছে?
হতাশ অথবা আক্রমণপ্রবণ বাচ্চাদের সঙ্গে মেলামেশা করলেও এমনটি হতে পারে। বাবা ও মায়ের মনোযোগ আকর্ষণের জন্যও শিশুরা অনেক সময় ছোট কোনো কারণে বা অকারণেও রেগে যায়।
পরিবারের কোনো সমস্যা অথবা বাইরের কাউকে মারপিট করতে দেখা; টিভিতে দেখা কোনো মারপিটের দৃশ্য বা ভিডিও গেমস খেলেও তার মধ্যে আক্রমণাত্মক আচরণ দেখা দিতে পারে। এ সমস্যার সমাধান করতে শিশুর সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তুলুন। তাকে সময় দিন, অবশ্যই কোয়ালিটি টাইম। তার সামনে চিৎকার চেচাঁমেচি করা বা রাগ প্রকাশ করা যাবে না। কারণ শিশুরা অনুকরণ করতে পছন্দ করে। সে যা দেখবে, যেমন দেখবে সেভাবেই গড়ে উঠবে। আর তাই শিশুকে সৃজনশীল কাজে বেশি ব্যস্ত রাখুন, ছোটবেলা থেকেই। সেটা গল্প শেখা হোক আর বাদ্যযন্ত্র বাজানোই হোক বা ছবি আঁকা।
বাচ্চার মুখে হঠাৎ কোনো খারাপ কথা শুনলে শুরুতেই তাকে বকা ঝকা করবেন না, তাকে সময় নিয়ে বোঝান। শিশুর জন্য ইনডোর গেমসের ব্যবস্থা করতে হবে।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় লক্ষ্য করবেন আপনার শিশু কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা পরিবেশ দেখলে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে কিনা, যদি এমন হয় তাহলে সচেতন হোন।