পর্তুগালের বর্তমান প্রজন্মের ফুটবলারদের নিয়ে কথা হচ্ছে অনেক। না হওয়ার অবশ্য কারণ নেই।ব্রুনো ফের্নান্দেস, বের্নার্দো সিলভা, জোয়াও ফেলিক্স, ভিতিনিয়া, রাফায়েল লেয়াও, দিয়োগো জতা, রুবেন দিয়াসরা রীতিমত তারকায় পরিণত হয়েছেন। সঙ্গে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো তো আছেনই। ৩৯ বছর বয়সেও যার গোলক্ষুধা কমেনি।
আজ রাতে পর্দা উঠছে ইউরোর। ফেভারিট হিসেবেই এখানে পা রাখছে পর্তুগাল। নিজেদের গ্রুপে তুরস্ক, জর্জিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্রকে পেয়েছে তারা। নিজেদের স্কোয়াডের শক্তিমত্তার ভরসা রেখেই রোনালদো জানালেন, তারা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার যোগ্য।
পর্তুগাল অধিনায়ক বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, এই প্রজন্ম এ ধরনের প্রতিযোগিতা জেতার যোগ্য। সেমিফাইনাল? আশা করি, আমরা এর চেয়েও দূরে যেতে পারব। আমাদের ধাপে ধাপে এগোতে হবে। শান্ত থেকে বর্তমান নিয়ে ভাবতে হবে। এখন পর্যন্ত যেভাবে খেলেছি সেভাবে খেলতে হবে। বিশ্বাস করতে হবে চ্যাম্পিয়ন হওয়া সম্ভব। জানি প্রতিযোগিতাটি ছোট, কিন্তু দল প্রস্তুত আছে। ‘
‘আমি ফুটবল উপভোগ করি, রেকর্ড গড়া কোনো লক্ষ্য নয়, তা কেবল একটি ফল মাত্র, স্বাভাবিকভাবেই তা হয়ে যায়। এটা আমার ষষ্ঠ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ। তাই সম্ভাব্য সেরা উপায়ে ভালো খেলে তা উপভোগ করাটাই আসল এবং নিশ্চিত করতে হবে দল যেন জিততে পারে। ‘
নিজেদের প্রথম ম্যাচে আগামী ১৮ জুন চেক প্রজাতন্ত্রের মুখোমুখি হবে পর্তুগাল। ২০১৬’র চ্যাম্পিয়নরা মুখিয়ে আছে দারুণ শুরু করতে। রোনালদো বলেন, ‘ভালো শুরু করাটা জরুরি। আমি প্রস্তুত বোধ করছি। এই প্রতিযোগিতার জন্য নিজেকে প্রস্তত করেছি আমি। উৎকণ্ঠা তো সবসময়ই থাকে, বিশেষ করে ম্যাচের আগের দিন পেটের মধ্যে স্নায়বিক উত্তেজনা কাজ করে। আমি আনন্দিত যে আমি এটা অনুভব করি। যখন সেটা অনুভব করি না, তখন হাল ছেড়ে দিয়ে থেমে যাওয়াই ভালো। নিজেকে অনুপ্রাণিত ও প্রস্তুত মনে হচ্ছে। আমি দেখছি, দলও বেশ শান্ত আছে।