রাজশাহীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ স্থলের গাছ কাটার ঘটনায় ‘শোকসভা’ করেছেন পরিবেশবাদীরা। গাছ কাটাকে ‘হত্যা’ আখ্যা দিয়ে ব্যাতিক্রমী এ শোকসভা করা হয়।এ সময় গাছ না কাটার ওয়াদা ভঙ্গ করায় রাজশাহী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে ‘মিথ্যাবাদী’ আখ্যা দেওয়া হয় এ কর্মসূচিতে।
শুক্রবার (১৪ জুন) বেলা ১১টায় রাজশাহী মহানগরীর সোনাদীঘি সংলগ্ন এলাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য নির্ধারিত স্থানের সামনে এ কর্মসূচি পালন কর হয়।
রাজশাহীর পরিবেশবাদী সংগঠন পরিবেশ আন্দোলন ঐক্য পরিষদ, ইয়ুথ অ্যাকশন ফর সোস্যাল চেঞ্জ-ইয়্যাস, ভঙ্গী নৃত্য শিল্পালয় ও বারসিক যৌথ এ শোকসভার আয়োজন করে।
যুব সংগঠন ইয়ুথ অ্যাকশন ফর সোস্যাল চেঞ্জ-ইয়্যাস সভাপতি শামীউল আলীম শাওনের সঞ্চালনায় শোক সভায় বক্তারা বলেন, শহীদ মিনার নির্মাণের স্থানে ১৫০ বছর ১০০ বছরের প্রাচীন বেশকিছু বৃক্ষসহ ষাটোর্ধ্ব অনেকগুলো সবুজ বৃক্ষ রয়েছে। আমরা বিগত দিনের উন্নয়ন দেখে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলাম যে শহীদ মিনার নির্মাণ করতে এ শতবর্ষী বৃক্ষগুলোকে হত্যা করা হতে পারে। তাই তারা প্রথম থেকেই এ বৃক্ষগুলোকে রক্ষা করা দাবি জানিয়ে আসছেন। আমরা এ বিষয়ে একাধিকবার স্মারকলিপি প্রদান করেছি। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছি একাধিকবার। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বৃক্ষগুলো রক্ষা করে শহিদ মিনার নির্মাণ করবেন। তবে তিনি তার প্রতিশ্রুতি রাখেননি।
শোক সভায় বক্তব্য দেন, পরিবেশ আন্দোলন ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মাহবুব টুংকু, সদস্য সচিব নাজমুল হোসেন রাজু, বারসিকের গবেষক শহিদুল ইসলাম, আদিবাসী ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সূভাষ চন্দ্র হেমব্রম, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের বিভাগীয় সমন্বয়ক মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদ জামাল কাদেরী ও ভঙ্গী নৃত্য শিল্পালয়ের সাধারণ সম্পাদক রবিন শেখ।
শোকসভা থেকে পরিবেশবাদীরা এসব গাছ হত্যা বন্ধ করার দাবি জানান। আর যদি রাজশাহীতে আর কোনো বৃক্ষ হত্যা করা হয় তবে বৃহৎ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন বক্তারা।