নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. সুমন মিয়া হত্যা মামলার আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৫ জুন) দুপুরে রায়পুরা বাসস্ট্যান্ডে প্রতিবাদ সমাবেশ ও পরে উপজেলা পরিষদের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে নিহতের স্বজন, রাজনৈতিক সহকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
রায়পুরার সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন ও হত্যার প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা, উপজেলা নির্বাচনের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো. সুমন মিয়ার হত্যায় জড়িত পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
এ সময় বক্তারা বলেন, প্রধান আসামি আবিদ হাসান রুবেল একজন সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও ভূমিদস্যু। অবিলম্বে রুবেলকে গ্রেপ্তার করে ফাঁসি কার্যকর করা হোক। সুমন স্ট্রোক করে মারা গেছে, এমন অপপ্রচার ছড়ালে ষড়যন্ত্রকারীদের কঠিন জবাব দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন, নিহত সুমনের বাবা ও চরসুবুদ্ধি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন, মির্জানগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মঞ্জুর এলাহী, রায়পুরা উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ বেগম, পাড়াতলী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামসহ অন্যান্যরা।
গত ২২ মে দুপুরে তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনের প্রচারণায় রায়পুরার চরাঞ্চল পাড়াতলী এলাকায় যান ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী তালা প্রতীকের মো. সুমন মিয়া। এ সময় অপর প্রতিদ্বন্দ্বী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আবিদ হাসান রুবেল (চশমা) এর সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় দৌড়ে বাঁশগাড়ী পুলিশ ফাঁড়িতে আশ্রয় নেন মো. সুমন মিয়া। পরে সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা ইউপি চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন বাদী হয়ে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আবিদ হাসান রুবেলকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এতে ২৬ জনের নাম উল্লেখসহ ৪০-৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
এছাড়া প্রার্থী মো. সুমন মিয়ার মৃত্যুতে পরদিন ২৩ মে এ উপজেলায় ভোটগ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।