নরসিংদীতে সোহেল মিয়া (৪০) নামে এক প্রতিবন্ধীকে লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে আহত করে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন ছাত্রলীগ নেতা।
শুক্রবার (৩১ মে) সকাল ৯টার দিকে সদর উপজেলার চরমাধবদী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমান বাবু সদর উপজেলার পাঁচদোনা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক। আহত বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এবং মৃগীরোগে আক্রান্ত সোহেল মিয়া সদর উপজেলার চর-মাধবদী এলাকার মৃত সাইদ মিয়ার ছেলে।
নরসিংদী সদর হাসপাতালের গিয়ে দেখা যায়, জরুরি বিভাগে বেডে শুয়ে আছেন সোহেল, পাশে রয়েছেন তার মা রেজিয়া বেগম। ছেলেকে পাশে নিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন।
এ সময় তিনি বলেন, গত পরশুদিন (বুধবার) স্থানীয় জাকির হোসেনের মুদি দোকানে যায় আমার ছেলে। এ সময় ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা বাবুর বাবা প্রতিবেশী মোখলেছুর রহমানের সঙ্গে বিস্কুট খাওয়া নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় সোহেলের। পরবর্তীতে স্থানীয় এলাকাবাসীর সমন্বয়ে বিষয়টি গতকাল নিরসন করা হয়। এর পরও গতকাল সোহেলের মামা বাবুল মোল্লাকেও মারধর করে বাবু। আজ সকালে আমার প্রতিবন্ধী ছেলে বাজারে গেলে সাধারণ মানুষের সামনে লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে আহত করে কলা বাগানে তাকে ফেলে চলে যান ছাত্রীলীগ নেতা বাবু। আমার কাছে বাড়িতে খবর আসে আমার ছেলেকে মেরে কলা বাগানে ফেলে রাখা হয়েছে। প্রথমে ভেবেছি সে মনে হয় মারা গেছে। তার পুরো শরীরে আঘাতের চিহ্ন। আমরা তাকে চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে নিয়ে এসেছি।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সমর জানান, বাবুকে অনেকবার অনুরোধ করেছি প্রতিবন্ধী পাগল ছেলেটাকে যেন না মারা হয়। কিন্তু কারো কথা শুনল না, ছেলেটাকে মেরে কলা বাগানে ফেলে চলে গেছে। আমার এলাকার মানুষ তাকে কিছু বলতে পারি না, কথায় কথায় সে মানুষকে মারে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগ নেতা বাবু বলেন, আমার বাবা স্ট্রোকের রোগী। সোহেল আমার বাবাকে থাপ্পড় মারাসহ ধাক্কা দিয়ে একাধিকবার ফেলে দিয়েছে, এছাড়া এলাকার বহুলোককে সে মেরেছে। আপনি ঘটনাস্থলে এসে বিস্তারিত খবর নিলেই বুঝতে পারবেন আসল ঘটনা কি ঘটেছিল।
মাধবদী থানার পাঁচদোনা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পুলিশ পরিদর্শক ইউছুফ আহমেদ জানান, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত নন। এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত কিংবা মৌখিক অভিযোগ পাননি। পেলে অবশ্যই দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।