দাম্পত্য কলহের জেরে শিশু সন্তানকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিতে যাচ্ছিলেন রাজিয়া বেগম নামে এক নারী। বিষয়টি টের পেয়ে তাদের বাঁচাতে এগিয়ে যায় জুবায়ের রহমান নামে এক স্কুলছাত্র।কিন্তু আবির নামে শিশুটি প্রাণে বেঁচে গেলেও ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ যায় রাজিয়া ও জুবায়েরের।
সোমবার (১ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে গাইবান্ধা সদরের মাঝিপাড়া এলাকায় ঘটেছে এ দুর্ঘটনা। লালমনিরহাট থেকে সান্তাহারগামী টোয়েন্টি ডাউন ট্রেনের নিচে কাটা পড়েন ওই দুজন।
রাজিয়া বেগম মাঝিপাড়া এলাকার রিকশাচালক আনোয়ার মিয়ার স্ত্রী। আর জুবায়েরের বাড়ি জেলার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালি এলাকায়। সে গাইবান্ধা এসকেএস স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
ওই কলেজের শিক্ষিকা লিজা আক্তার স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বলেন, জুবায়ের তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দশম শ্রেণির ছাত্র। সে আজ দুপুরে রেললাইনের পাশের সড়ক দিয়ে প্রাইভেট পড়তে যাচ্ছিল।
এসময় শিশু আবিরকে নিয়ে তার মা রাজিয়াকে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিতে দেখে তাদের বাঁচানোর চেষ্টা করে জুবায়ের। এক পর্যায়ে শিশুটিকে বাঁচাতে পারলেও ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় রাজিয়া ও জুবায়েরের।
গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা দুর্ঘটনায় দুইজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।