সবশেষ খেলেছিলেন ওয়ানডে বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। প্রায় পাঁচ মাস বাদে সেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই আবারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছেন সাকিব আল হাসান।তবে ফরম্যাটটা ভিন্ন। মাঝখানে বিপিএল ও ডিপিএল খেললেও খেলেননি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজ। প্রথম টেস্টে না থাকলেও দ্বিতীয় টেস্টের স্কোয়াডে রাখা হয়েছে তাকে।
দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে একদমই পাত্তা পায়নি বাংলাদেশ। সিলেটে সেই বিধ্বস্ত সময় ভুলে চট্টগ্রামে সিরিজ বাঁচানোর লক্ষ্যে মুখিয়ে আছে টাইগাররা। ৩০ মার্চ থেকে টেস্ট শুরু হলেও সাকিব দলের সঙ্গে যোগ দেবেন আজই। এর আগে আজ ঢাকা রূপায়ণ সিটি উত্তরার সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম টেস্ট জেতা উচিত বাংলাদেশের।
সাকিব বলেন, ‘আশা তো সব সময় করি আমরা জিতব। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে সব সময়ই আমরা সংগ্রাম করেছি, আমাদের জন্য কঠিন। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, আমাদের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অনেক ভালো করা উচিত এবং টেস্ট ম্যাচ জেতা উচিত। ’
প্রায় এক বছর বাদে টেস্টে ফিরছেন সাকিব। প্রত্যাবর্তন রাঙাতে কোনো ব্যক্তিগত লক্ষ্য আছে কি না, এমন প্রশ্নে এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘ব্যক্তিগত কোনো লক্ষ্য নেই। মনে হয় না ক্রিকেট যত দিন খেলেছি, কোনো ব্যক্তিগত লক্ষ্য বা অর্জনের দিকে আমার চোখ ছিল। সব সময় চেষ্টা করেছি, দলের জন্য কীভাবে অবদান রাখা যায়। দেশের হয়ে পারফর্ম করতে পারা, দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করাটা সব সময় গর্বের একটা বিষয়। স্বাভাবিকভাবেই টেস্ট দলে ফিরতে পেরে আমি আনন্দিত, একই সঙ্গে গর্বিত। ’
বিশ্বকাপের পর সাকিবের জায়গায় তিন ফরম্যাটের নেতৃত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর কাঁধে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারলেও ওয়ানডেতে পেয়েছেন জয়ের স্বাদ । কিন্তু প্রথম টেস্টে তিনি ও দল ছিল একদমই বিবর্ণ। তবে সাকিবের মতে, অসাধারণ এক অধিনায়ক হতে পারেন শান্ত।
সাকিব বলেন, ‘খুবই আর্লি স্টেজ (অধিনায়কত্ব নিয়ে মন্তব্য করা)। আমি নিশ্চিত বিসিবি ওকে লম্বা সময়ের কথা ভেবেই নিয়েছে। ওর শুরুটা খুব ভালো হয়েছে। কিছু ফলাফল ওর পক্ষে এসেছে যেটা ওকে সাহায্য করবে সামনে এগিয়ে যেতে। সবার সমর্থন থাকলে শান্ত অসাধারণ একজন অধিনায়ক হবে।