দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে শ্যামলী এন আর ট্রাভেলসের ঢাকাগামী যাত্রীদের কাছে বিক্রি করা আগাম টিকিটের প্রায় ১০ লাখ টাকা নিয়ে গা ঢাকা দেওয়া কাউন্টার ম্যানেজার সোহেল রানার অবশেষে সন্ধান মিলেছে। শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) বিকালে সোহেল রানাকে খুঁজে পায় এলাকাবাসী।
জানা যায়, ঢাকাগামী শ্যামলী এন আর ট্রাভেলসের ফুলবাড়ীর কাউন্টার ম্যানেজার সোহেল রানা বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) থেকে শুক্রবার (৫ মে) পর্যন্ত যাত্রীদের কাছে আগাম টিকিট বিক্রি করেন। পরে টিকিট বিক্রির প্রায় ১০ লাখ টাকা নিয়ে সোহেল রানা কাউন্টার বন্ধ করে গা ঢাকা দেন। বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) রাত ১০টার যাত্রীরা কাউন্টারে এসে কাউন্টার ও কাউন্টার ম্যানেজারের ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। এতে চরম বিপাকে পরেন ঈদ শেষে ঢাকাগামী যাত্রীরা। রাত ১২টা পর্যন্ত কাউন্টারের সামনে অবস্থান করেও কোনো সুরাহা না পেয়ে বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা কাউন্টার ভাঙচুর করেন।
ঢাকাগামী গার্মেন্টস শ্রমিক পলাশ মিয়া ও তার স্ত্রী হাবিবা সুলতানা বলেন, ঈদ শেষে কাজের তাগিদে ঢাকা ফিরতে ফুলবাড়ী কাউন্টার থেকে দেড় হাজার টাকায় দু’টি টিকিট কিনেছেন। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার বাসে ঢাকা যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কাউন্টার ও ম্যানেজারের ফোন বন্ধ থাকায় মহাবিপদে পড়েছেন।
শ্যামলী এন আর ট্রাভেলসের দিনাজপুর কাউন্টার ম্যানেজার রুবেল হোসেন বলেন, যাত্রীদেরকে ফুলবাড়ী থেকে ঢাকাসহ অন্যান্য গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ফুলবাড়ী কাউন্টার ম্যানেজার সোহেল রানার রিজার্ভ গাড়ির দায়িত্ব শ্যামলী এন আর ট্রাভেলস নেবে না। কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।
অভিযুক্ত কাউন্টার ম্যানেজার সোহেল রানা বলেন, পাওনাদারদের ভয়ে আত্মগোপনে ছিলেন। টিকিট বিক্রির টাকা দিয়ে কিছু ধার-দেনা মেটাতে গিয়ে সাময়িক সমস্যা হয়েছিল। এখন অনেকটাই ঝামেলা মিটে গেছে। টিকিট নেওয়া যাত্রীরা সময়মত গন্তব্যে যেতে পারবেন।
ফুলবাড়ী থানার ওসি আশরাফুল ইসলাম বলেন, যাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে কাউন্টার ম্যানেজার সোহেল রানাকে খুঁজে বের করে কাউন্টারে বাসানো হয়েছে। বর্তমানে সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে।