দ্বিতীয় সেশনের পর ব্যাট হাতে লড়াই চালান তাইজুল ইসলাম। কিন্তু ফিফটি স্পর্শ করার আগেই বিদায় নেন।শেষদিকে খালেদ আহমেদও টিকে থাকেন বেশ কিছুক্ষণ। তবে সংগ্রহ খুব বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ। লিড পেয়ে ব্যাট করছে লঙ্কানরা।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা। প্রথম ইনিংসে ২৮০ রানে অলআউট হয় লঙ্কানরা। জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৮৮ রানে অলআউট হয়ে গেছে স্বাগতিকরা। ৯২ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করছে শ্রীলঙ্কা।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই খালেদ আহমেদের বল নিশান মাদুশকার পায়ে লাগলে এলবিডব্লিউয়ের আবেদন করে বাংলাদেশ। আম্পায়ার আউট না দিলে রিভিউ নেন শান্ত। পরবর্তীতে দেখা যায় স্টাম্পের খানিক উপর দিয়ে বল চলে যায়। স্ট্যাম্প মিস করায় রিভিউ ব্যর্থ হয়।
নিজের পরের ওভারে আবারও একই ব্যাটারের জন্য এলবিডব্লিউয়ের আবেদন করেন খালেদ। আগের মতোই আম্পায়ার আউট না দিলে রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। অল্পের জন্য স্ট্যাম্প মিস হওয়ায় এই রিভিউটিও ব্যর্থ হয়। তবে মাদুশকা টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। নাহিদ রানার বল তার ব্যাটের কানায় লেগে তালুবন্দি হয় লিটন দাসের। ২০ বলে ১০ রান করে সাজঘরে ফেরেন লঙ্কান ওপেনার। তবে অপরাজিত আছেন দিমুথ করুনারত্নে। ৯ রানে ব্যাট করছেন তিনি।
এর আগে দ্বিতীয় দিনের সকাল খুব বেশি আশা জাগানিয়া হয়নি বাংলাদেশের জন্য। প্রথম ঘণ্টায়ই আউট হয়ে যান আগেরদিনের অপরাজিত ব্যাটার মাহমুদুল হাসান জয়। লাহিরু কুমারার অফ স্টাম্পের সামান্য বাইরের বল জয়ের ব্যাটে লেগে চলে যায় তৃতীয় স্লিপে। ৪৬ বলে ১২ রান করে ফেরেন জয়।
শাহাদাৎ হোসেন দীপু এরপর সঙ্গী হন তাইজুলের। মাঝে একবার ক্যাচ তুলেও বেঁচে যান তাইজুল। দীপুর হাত ধরে আসে বাউন্ডারি। তাইজুলও তাকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন দারুণভাবে। কিন্তু আবারও বাংলাদেশকে বিপদে ফেলেন কুমারা।
এবার তিনি তুলে নেন দীপুর উইকেট। কিছুটা বউন্স করা বল প্রথম স্লিপে ক্যাচ যায়। ২৬ বলে এর আগে ১৮ রান করেন দীপু। বাংলাদেশের জন্য এরপর বড় ভরসা হয়ে ছিলেন লিটন দাস। তাইজুলও টিকে ছিলেন ক্রিজে।
এই দুজনের জুটিতে আবারও আশার আলো খুঁজে পায় বাংলাদেশ। কিন্তু ফের কুমারা উইকেট তুলে নেন। এবার তিনি বোল্ড করেন লিটন দাসকে। অফ স্টাম্পের বেশ বাইরে পড়া বল ভেতরে ঢুকে স্ট্যাম্পে আঘাত করে। ৭৬ বলে তাইজুলের সঙ্গে ৪১ রানের জুটি ছিল লিটনের।
লাঞ্চের ঠিক আগে লিটন আউট হন, তখন নামেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তাইজুলের সঙ্গে তিনিই সেশনের বাকি সময়টা কাটিয়ে দেন। লাঞ্চের সময় তাইজুলের রান ছিল ৪২, ফিরে এসে একটি বাউন্ডারি ও সিঙ্গেলস নেন তিনি। প্রায় পুরোটা সময় ধরে লড়াই করা তাইজুল শেষ অবধি হাফ সেঞ্চুরি করার আগেই আউট হয়ে যান।
৮০ বলে ৬ চারে ৪৭ রান করার পর কাসুন রাজিথার অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটরক্ষক কুশল মেন্ডিসের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ৩৪ বলে ১১ রান করে রাজিথার বলেই আউট হয়ে যান মেহেদী হাসান মিরাজও।
ওখান থেকে বড় লিডের পথেই ছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু ৩৫ বলে ৪০ রান করে সেটি হতে দেননি খালেদ ও শরিফুল। ২ ছক্কায় ২১ বলে ১৫ রান করেন শরিফুল এবং ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৮ বলে ২২ রান করেন খালেদ। লঙ্কানদের পক্ষে বিশ্ব ফার্নান্দো চার ও তিনটি করে উইকেট নেন কাসুন রাজিথা ও লাহিরু কুমারা।