রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) বিভিন্ন থানা অভিযান চালিয়ে সাজাপ্রাপ্ত চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা এতদিন সাজা খাটার ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন।তাদের খুঁজছিল পুলিশ।
সোমবার (১৮ মার্চ) রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) সদর দপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মো. জামিরুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় এই পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরএমপির বিমানবন্দর থানা, পবা ও শাহ মখদুম থানা পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে। পালিয়ে বেড়ানোর এক পর্যায়ে নিজ নিজ বাড়ি ফিরলে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার সাধুর মোড়ের মৃত মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে মো. রবিউল ইসলাম, একই থানার বিরস্তইল গ্রামের মৃত সিহাব আহমেদের ছেলে মো. মেজবাহ আহমেদ বাপ্পী, পবা থানার মধুসূদনপুরের মো. আকরাম হোসেনের ছেলে মো. সাগর আলী এবং শাহ মখদুম থানার নামোপাড়ার মো. মনু মিয়ার ছেলে মো. মানিক।
আরএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জামিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, এর মধ্যে রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে আরএমপির বিমানবন্দর থানায় সিআর মামলায় দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং আসামি মেজবাহ আহমেদ বাপ্পীর বিরুদ্ধে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড সাজা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। তাই আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছিল।
বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে এসআই মো. শরিফুল ইসলাম ও তার টিম গত রোববার (১৭ মার্চ) দিনগত রাত সাড়ে ১২ টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আসামি রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেন।
এয়ারপোর্ট থানার অপর একটি টিম এসআই জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে সোমবার (১৮ মার্চ) বেলা ১১টায় অভিযান চালিয়ে আসামি মেজবাহকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে পবা থানার ওসি মো. সোহরাওয়ার্দী হোসেনের নেতৃত্বে এসআই তাজউদ্দিন ও তার টিম সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আসামি সাগর আলীকে গ্রেপ্তার করেন।
এছাড়াও গত রোববার সন্ধ্যা ৬টায় শাহ মখদুম থানায় যৌতুক নিরোধ আইনের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি মানিককে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের আদালতের মাধ্যমে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান জামিরুল ইসলাম।