ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ১৯৬৭ সাল থেকে ইসরায়েলিদের অবৈধ দখল নিয়ে জাতিসংঘের শীর্ষ আদালতে ঐতিহাসিক এক শুনানি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। হেগভিত্তিক আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে শুনানির প্রথম দিনে ফিলিস্তিনি পক্ষ শিগগির এ দখলদারত্বের অবসান দাবি করেন।
পশ্চিম তীর, গাজা ও পূর্ব জেরুজালেমে ইসরায়েলের দখল নিয়ে আদালতে ৫২টি দেশ ও তিনটি সংস্থা আইনি কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে। গাজায় ইসরায়েলের ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের মধ্যেই কয়েক দিনব্যাপী এ শুনানি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
শুনানির প্রথম দিনে আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে (আইসিজে) ফিলিস্তিনি প্রতিনিধিরা তাদের যুক্তিতর্ক তুলে ধরেন। তারা যুক্তি দেন, ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের অস্তিত্ব ও চর্চা আলোচনার বিষয় হতে পারে না।
পল রেইচলার নামে এক আইনি প্রতিনিধি বলেন, দখলদারত্বের মৌলিক উদ্দেশ্য হলো সর্বাধিক ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের স্থায়ী অধিগ্রহণ, যাতে ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা সর্বনিম্ন হয়।
ফিলিস্তিনি প্রতিনিধিরা দাবি করেন আইসিজে যাতে ঘোষণা করে, ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের বৈষম্যমূলক আচরণ বর্ণবাদতুল্য। তারা বলেন, ইসরায়েলি দখল বেআইনি; অবিলম্বে, নিঃশর্ত এবং সম্পূর্ণভাবে এটি শেষ করতে হবে।
জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মনসুরও তার যুক্তি তুলে ধরেন।
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় ফের শুনানি শুরু হবে। দক্ষিণ আফ্রিকা, সৌদি আরব, নেদারল্যান্ডস, বাংলাদেশ ও বেলজিয়ামের প্রতিনিধিরা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবেন।