তামিম ইকবাল হাফ সেঞ্চুরি করলেন, দলকে এনে দিলেন বড় রানের ভিত। এই পথে করলেন দুটি রেকর্ডও।তবুও মাঝপথে কিছুটা খেই হারালো ফরচুন বরিশালের ব্যাটিং। তবে শেষের ঝড়ে সেটি পুষিয়ে দিয়েছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ব্যাট হাতে শুরুতেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যাওয়া দুর্দান্ত ঢাকা আর কখনোই ফিরে আসতে পারেনি।
বুধবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দুর্দান্ত ঢাকাকে ২৭ রানে হারিয়েছে ফরচুন বরিশাল। শুরুতে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৬ রান করে বরিশাল। রান তাড়ায় নেমে ৮ উইকেটে ১৫৯ রান করে ঢাকা। এই জয়ে ১০ ম্যাচে পাঁচ জয় নিয়ে বিপিএলের পয়েন্ট টেবিলের তিনে উঠে এসেছে বরিশাল। আর আগের ম্যাচে রেকর্ড টানা আট ম্যাচ হারার পর এবার আরও একটিতে হারলো তারা।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু পায় ফরচুন বরিশাল। যদিও প্রথম ওভারেই তামিম ইকবালকে ক্যাচ আউট করতে রিভিউ নেয় দুর্দান্ত ঢাকা, কিন্তু সফল হয়নি তারা। পাওয়ার প্লের প্রথম দিকে রান সেভাবে না এলেও শেষ অবধি ৫৪ রান করে বরিশাল।
হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন বরিশালের অধিনায়ক তামিম। বিপিএলে এটি তার ২৬তম হাফ সেঞ্চুরি, যা টুর্নামেন্টের রেকর্ডও। ৭ চার ও ৪ ছক্কায় ৪৫ বলে ৭১ রান আসে তামিমের ব্যাট থেকে। আলাউদ্দিন বাবুর স্লোয়ার লং অফে ক্যাচ দেন সাইফ হাসানের কাছে। বিপিএলে একশ ছক্কা হাঁকানোর মাইলফলকও স্পর্শ করেন তামিম। দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে এই কীর্তি গড়েছেন তিনি, ক্রিস গেইলের ছক্কা ১৪৩টি।
তামিমের আগেই ফিরে যান আরেক ওপেনার আহমেদ শেহজাদ। ৪ চারে ২২ বলে ২৪ রান করেন তিনি। সৌম্য সরকারের ব্যাটে ২৩ বলে ২৮ রান এলেও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ কেউই ভালো করতে পারেননি। রিয়াদ ১৩ বলে ১০, মুশফিকুর রহিম ৩ বলে ১ ও মেহেদী হাসান মিরাজ দুই বলে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন।
শেষদিকে নেমে ঝড় তোলেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। এই অলরাউন্ডার বিপিএলের শুরুর দিকে খেলতে পারেননি তিনি চোটের কারণে। ফেরার পর ব্যাটে-বলে দারুণ ছন্দে আছেন তিনি। ২ চার ও সমান ছক্কায় ৬ বলে ২৩ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। ঢাকার হয়ে ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে আলাউদ্দিন বাবু তিনটি উইকেট পান। এছাড়া তাসকিন দুই ও শরিফুল ইসলাম একটি উইকেট নেন।
ব্যাট হাতে যেখানে শেষ করেছিলেন, বল হাতেও ওখান থেকেই শুরু করেন সাইফউদ্দিন। দ্বিতীয় ওভারে এসে দুই উইকেট নেন তিনি। এর আগেই অবশ্য প্রথম ওভারে কেশভ মহারাজ আউট করেন নাঈম শেখকে। এক ওভারে রোসিংটন ও সাইফ হাসানকে ফিরিয়ে ঢাকাকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন সাইফউদ্দিন।
ঢাকার হয়ে অনেকটা একাই লড়াই করেন অ্যালেক্স রস। এই ব্যাটার ৪৯ বলে ৮৯ রান করে অপরাজিত থাকেন।
বরিশালের হয়ে ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন খালেদ আহমেদ। তিনটি উইকেট পান মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনও।