পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকারকে মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) তলব করেছে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। ১৯ ফেব্রুয়ারি তাকে হাজির হতে হবে।নিখোঁজ বেলুচ শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে ব্যর্থতার জেরে কাকারকে তলব করল সেদেশের আদালত।
জোরপূর্বক গুমবিষয়ক তদন্ত কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে দায়ের করা এক পিটিশনের শুনানি নিয়ে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের বিচারক মহসিন আখতার কায়ানি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রীকে তলবের আদেশ দেন। খবর ডনের।
তদন্ত কমিশনটি ২০১১ সালে গঠিত হয়। নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধান এবং গুমের জন্য দায়ী ব্যক্তি বা সংস্থার ওপর দায় নির্ধারণে এ কমিশন গঠন করা হয়।
গেল বছরের নভেম্বরে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট সতর্ক করে দিয়ে বলে, নিখোঁজ বেলুচ শিক্ষার্থীদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে ব্যর্থ হলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান এবং অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হতে পারে।
শুনানিকালে পাকিস্তানের অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতকে জানান, নিখোঁজ ৫০ জনের মধ্যে ২২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ২৮ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
গেল ১০ জানুয়ারি বিচারক কায়ানি বলেছিলেন, একদিন আসবে যখন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদেরও জবাবদিহি করা হবে এবং বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
মঙ্গলবারের শুনানিতে বিচারক কায়ানি নিখোঁজদের সন্ধানে ব্যর্থতায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং বলেন, জোরপূর্বক গুমের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত। সাধারণত একবার মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়, তবে এ ক্ষেত্রে, শাস্তি দুবার দেওয়া উচিত।
বিচারক আরও মন্তব্য করেন, তিনি আপাতত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রীকে তলব করছেন এবং পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীকেও আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশনা দেবেন।