সম্প্রতি ন্যাচার মেডিসিন নামে একটি জার্নালে একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে ১৭ এপ্রিল। গবেষণায় অনেকের খাবারের প্যাটার্ন দেখে গবেষণা করা হয়েছে। ২০১৮ সাল থেকে প্রায় ১৪ মিলিয়ন মানুষের ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানা গেছে তিনটি সাধারণ অভ্যাসের কারণে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি অনেক বাড়ছে। গবেষণাটি জাতিসংঘের গ্লোবাল ডায়েটারি ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
মোটমাট ১১টি ডায়েটারি ফ্যাক্টর বিবেচনা করে ডায়াবেটিসের ঝুঁকির দিকগুলো আবিষ্কার করা সম্ভব হয়েছে। মূলত তিনটি খাদ্যাভ্যাস ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। সেগুলো হলো:
প্রসেস করা মাংস
আজকাল প্রসেস করা মাংসই সবার খাদ্যতালিকায় বেশি। সসেজ, বার্গার, প্যাটি, ফ্রাইসহ প্রসেস করা খাবার থাকে নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায়। এসব মাংসে প্রচুর লবণ, মাংস ও তেল থাকায় স্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। রক্তে সুগারের পরিমাণ একদিকে বেড়ে যাওয়ায় টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
রিফাইন করা শস্যদানা
পলিশ করা শস্যদানা শহরে অনেক জনপ্রিয়। কদিন আগেও বাজারে মিনিকেট নামে একটি চাল পাওয়া যেত। এরকম অনেক শস্যদানা আছে যা ছাটাই করে ফেলা হয়। এভাবে হয়তো দানাগুলো সরু ও মিহি হয়। কিন্তু প্রয়োজনীয় ফাইবার হারায়। এসব দানাদার খাদ্য দ্রুত হজম হয়ে যায় এবং পর্যাপ্ত ফাইবার না থাকায় ক্ষুধামন্দা বাড়ায়। তখন আপনি বেশি বেশি খেতে গিয়ে রক্তে সুগারের মাত্রা অজান্তেই বাড়িয়ে ফেলেন।
রিফাইনড ফাইবার
রিফাইন করা ফাইবারযুক্ত খাবারের মধ্যে বিভিন্ন ময়দা, আটা, ডাল রয়েছে। বিভিন্ন নামে এগুলো স্বাস্থ্যকর নাম দেওয়া হলেও সবার জন্য এসব খাবার না। কারণ রিফাইন করা ফাইবার দ্রুত হজম হয় এবং রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়িয়ে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের মতো সমস্যার উৎপত্তি ঘটায়।