টানা দুইবারের স্বর্ণজয়ী ব্রাজিল অনূর্ধ্ব-২৩ দলকে বিদায় অলিম্পিক ফুটবলের টিকিট কেটেছে আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-২৩ দল। বাঁচা-মরার লড়াইয়ে ১-০ গোলের জয় পায় তারা।এখন সেই প্রশ্নটা আরও জোরালো হলো। লিওনেল মেসি কি প্যারিস অলিম্পিকে খেলবেন।
আর্জেন্টিনা অলিম্পিকে সবশেষ স্বর্ণ জেতে ২০০৮ সালে। বেইজিংয়ে সেই দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন লিওনেল মেসি, আনহেল দি মারিয়া, হাভিয়ের মাচেরানোরা। মেসি-দি মারিয়া অবশ্য এখনো খেলে যাচ্ছেন। কিন্তু কোচিংয়ে নাম লিখিয়েছেন মাচেরানো। আর্জেন্টিনার অলিম্পিক দলটিকে তিনিই তালিম দিচ্ছেন। সাবেক এই মিডফিল্ডার জানালেন, মেসির জন্য অলিম্পিকে খেলার দরজা খোলা রয়েছে।
ব্রাজিলের বিপক্ষে জয়ের পর মাচেরানো বলেন, ‘মেসির সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব কেমন তা ইতোমধ্যে সবাই জানে। তার মতো খেলোয়াড়ের জন্য আমাদের সঙ্গী হওয়ার দরজা খোলা রয়েছে। অবশ্যই এটা তার ওপর এবং তার প্রতিশ্রুতির ওপর নির্ভর করে। ‘
‘সে আমাদের অভিনন্দন জানিয়েছে এবং খুবই খুশি হয়েছে। আমরা সবাই জানি লিও জাতীয় দলের বড় ভক্ত এবং যুব দলগুলোর দিকেও তার চোখ তাকে। অলিম্পিক গেমসে আমাদের সঙ্গে যোগ দিলে আনন্দিতই হব। এটা নিয়ে কথা বলার সময় হবে। তবে অলিম্পিকে ওঠায় সে আমাদের অভিনন্দন জানিয়েছে, এর চেয়ে বেশি কিছু বলেনি। ‘
কোপা আমেরিকার ঠিক পরপরই শুরু (২৬ জুলাই-১১ আগস্ট) হবে অলিম্পিক। তাই বেশ কয়েকটি স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছিল, দুটি টুর্নামেন্টই খেলার ইচ্ছা আছে মেসি ও দি মারিয়ার। এনিয়ে দুজনের সঙ্গেই কথা বলবেন মাচেরানো।
আর্জেন্টিনার অলিম্পিক দলের কোচ বলেন, ‘তারা কী চায়, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার তাদের আছে। তবে অবশ্যই আমরা তাদের আমন্ত্রণ জানানোর চেষ্টা করব এবং দেখব কী হয়। জাতীয় দলের এবার কোপা আমেরিকা আছে এবং এটা সহজ কিছু নয়। এটা নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে আমাদের। সবাই জানে মেসি ও আনহেলের সঙ্গে আমার সম্পর্ক কেমন।
‘আমরা বন্ধু, আমাদের মধ্যে অসাধারণ সম্পর্ক রয়েছে। কোচ হিসেবে অবশ্যই তাদের আমন্ত্রণ জানানোর বাধ্যবাধকতা আছে আমার। কিন্তু এটাও বুঝতে হবে তাদের অন্য কমিটমেন্টও রয়েছে এবং সেটার ওপর নির্ভর করছে তা। তাই বিষয়টা এতোটাও সহজ নয়। এখন উপভোগ করাটাই হলো গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। ‘