বিপিএলের বাহারি জার্সি গায়ে যখন ব্যস্ততা ছিল মিরপুরে। তখন মুমিনুল হকও আসতেন মাঝেমধ্যে; তবে সেটি কেবলই একার অনুশীলনে।একাডেমি মাঠ ও মাস্কো ক্রিকেট একাডেমিতে তিনি প্রস্তুত হচ্ছিলেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সাদা পোশাকের লড়াইয়ের জন্য।
এবারের বিপিএলের ড্রাফট থেকে মুমিনুলকে দলে নেয়নি কোনো দল। দেশের অন্যতম অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারকে বিপিএলের মাঝপথে এসে দলে নিয়েছে রংপুর রাইডার্স। এজন্য ফ্র্যাঞ্চাইজিটিকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি। শুরুতে দল না পাওয়ায় কোনো খারাপ লাগা ছিল না বলেই জানিয়েছেন মুমিনুল।
তিনি বলেন, ‘খারাপ লাগেনি। পুরো বিপিএলের খেলা দেখেছি। অনুশীলনও করছিলাম। সামনে শ্রীলঙ্কা সিরিজের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। আপনি যেভাবে বলছেন, ওরকম খারাপ লাগেনি। যদি সত্যি বলেন, একটু খারাপ লাগবেই, খুব বেশি যে খারাপ লাগসে, সেটাও না আবার। খারাপ লাগার তো বিভিন্ন ধরন থাকে… ওই ধরনটা একটু আলাদা ছিল। ’
‘কারো কম খারাপ লাগে, কারো একটু বেশি খারাপ লাগে। না লাগার মতো যতটুক, অতটুক খারাপ লাগসিল। এমন খারাপ লাগছিল না যেটা হলে হতাশ হয়ে যাব। সবাই যেহেতু খেলছে, আমারও একটু খেলার ইচ্ছা ছিল। ’
গত আসরেও বিপিএলে সুযোগ পাননি মুমিনুল। তবে এই টুর্নামেন্টে ৮২টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। ১০৭.৪৮ স্ট্রাইক রেট ১৩৬৪ রান করেছেন মুমিনুল। শুরু থেকে না খেললেও মানিয়ে নিতে কোনো সমস্যা হবে না বলে বিশ্বাস তার।
মুমিনুল বলেন, ‘আমার মনে হয় না খুব বেশি সমস্যা হবে। অনেক দিন ধরে ক্রিকেট খেলছি, কিছুটা হলেও তো জানি হয়তো! খুব বেশি জানি, এটাও বলব না, কিছুটা হলেও তো জানি! আমার মনে হয় না খুব বেশি সমস্যা হবে। ’
‘সবসময় আমি যে জিনিসটা বিশ্বাস করি রিজিকটা আল্লাহর হাতে। ওরা খেলছে এখানে, আমি এখানে ভালো খেলোয়াড় হয়েও খেলতে পারছি না, এটা নিয়ে আফসোসের কিছু নেই। আমি বিশ্বাস করি আপনি আপনার কাজ করবেন, আমি আমার কাজ করব, বাকিটা আল্লাহর হাতে। আমি আমার কাজটা করার পর সুযোগ পাব, বাংলাদেশ ক্রিকেট এমন একটা জায়গা যেখানে আপনি সবসময় সুযোগ পাবেন। জরুরি হলো সে সুযোগটা কাজে লাগান। সুযোগ সবারই আসবে, কাজে লাগানোটা জরুরি। ’