সমীকরণটা আপাতত সহজই বলা যায়। সেজন্য কৃতিত্ব দিতে হবে বোলারদের।দাপুটে বোলিংয়ে পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ১৫৫ রানে বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যেতে হলে এই রান ৩৮.১ ওভারের মধ্যে পাড়ি দিতে হবে যুবা টাইগারদের ।
বেনোনিতে সুপার সিক্সের শেষ ম্যাচে টস জিতে বোলিং নিয়ে শুরু থেকেই পাকিস্তানকে চাপের মধ্যে রাখে বাংলাদেশ। নবম ওভারে শামিল হোসেনকে বোল্ড করে ব্রেকথ্রু এনে দেন রোহানত উল্লাহ বর্ষণ। গতি দিয়ে পাকিস্তানি ব্যাটারদের দুর্বিষহ অবস্থায় ফেলেন ডানহাতি এই পেসার। পরের ওভারেই উইকেটের পেছনে থাকা আশিকুর রহমান শিবলীর ক্যাচে পরিণত করে ফেরান আজান আওয়াইসকে।
পেসের পর স্পিনেও সুবিধা করতে পারেনি পাকিস্তান। শেখ পারভেজ জীবনের কাছে সুযোগই পাচ্ছিলেন না কোনো ব্যাটার। যদিও সপ্তম উইকেটে ৪৩ রান যোগ করেন আরাফাত মিনহাস ও আলি আসফান্দ। কিন্তু এই জুটি বড় বিপদ হওয়ার আগেই বাংলাদেশকে ব্রেকথ্রু এনে দেন জীবন। আহরার আমিনের দুর্দান্ত এক ক্যাচে আসফান্দকে ফেরান ডানহাতি এই স্পিনার। সর্বোচ্চ ৩৪ রান করা মিনহাস দলের শেষ ব্যাটার হিসেবে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বির বলে।
বাংলাদেশের হয়ে বর্ষণ-জীবন দুজনেই শিকার করেন সর্বোচ্চ চারটি করে উইকেট। কাকতালীয়ভাবে বল হাতে কেউই ২৪ রানের বেশি দেননি। তাদের দারুণ পারফরম্যান্স বিফলে না যাওয়াটা এখন নির্ভর করছে ব্যাটারদের ওপর। পাকিস্তান অবশ্য জিতলেই সেমিফাইনালে চলে যাবে। কেননা ৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট তাদের। তবে বাংলাদেশকে ৬ পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনালে যেতে হলে ১৫৫ রান টপকাতে হবে ৩৮.১ ওভারের মধ্যেই।