সাকিব আল হাসানকে নিয়ে প্রশ্ন হলো বেশ কয়েকটি। ব্যাটিং করবেন কি না, করলেও কবে, চোখেরই বা কী অবস্থা- রংপুর রাইডার্স অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান মুখে হাসি রেখেই বললেন, ‘চেষ্টা করবো সাকিব ভাইকে পরের সংবাদ সম্মেলনে নিয়ে আসতে।’
অধিনায়কের মুখে চওড়া হাসি থাকুক অথবা বিরক্তি- সাকিব আলোচনায় থাকবেন এটিই এখন স্বাভাবিক। চোখের সমস্যায় অনেকদিন ধরে ভুগছেন তিনি। কিছুতেই সমাধান মিলছে না। অনুশীলনে ব্যাটিং করলেও ম্যাচে তিনি আসছেন না। তবুও সাকিবের মাঠে থাকাটাকেই গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন সোহান।
তিনি বলেন, ‘দেখেন সাকিব ভাই বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার। উনি এখনও অলরাউন্ডার। কিন্তু উনি চোখের সমস্যার জন্য একটু ভুগছেন। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় যে, আমাদের দলের জন্য মাঠে তার উপস্থিত থাকাটাই অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ’
আগের ম্যাচে রংপুরের ৯ ব্যাটার আউট হলেও উইকেটে আসেননি সাকিব। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষেও সাত উইকেট হারিয়ে আসেননি। তবে এদিন দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে বাবর আজম আউট হওয়ার পরই হেলমেট পরে তৈরি ছিলেন সাকিব। কেন?
এমন প্রশ্নের উত্তরে সোহান বলেন, ‘পরিকল্পনা ওই রকম ছিল আমাদের যদি দুইটা দ্রুত উইকেট হয় তাহলে সাকিব ভাইকে নামাতে হতো। আসলে লেফট- রাইট কম্বিনেশনের জন্য এই পরিকল্পনাটা করা হয়েছিল। ’
‘আমার কাছে মনে হয় যে, অনুশীলন করছেন। নিজে নিজেও অনুশীলন করছেন। ইভেনচুয়ালি অফ ডেতেও অনুশীলন করছেন। ওই ব্যাটিং থেকে যে আত্মবিশ্বাসটা রয়েছে এবং চোখের যে সমস্যাটা আছে– আমার কাছে মনে হয়, এটা ভালো হচ্ছে আস্তে আস্তে। টুর্নামেন্টের শেষদিকে পুরো দমে সাকিব ভাইকে ব্যাটিংয়ে দেখতে পারব। ’
রংপুরের বিপক্ষে জয়ের জন্য শেষ ওভারে ২৮ রান দরকার ছিল কুমিল্লার। এমন সময় শেষ ওভার করতে আসেন সাকিব। এ পরিকল্পনা আগে থেকেই করা ছিল বলে জানান সোহান। সাকিব শেষ ওভারে এসে দিয়েছেন ২০ রান। যদি রান কম দরকার হতো, তাহলেও কী আসতেন সাকিব?
সোহান বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় যে, সিচুয়েশন অনুযায়ী, যেহেতু লেফট-রাইট কম্বিনেশন ছিল, তখন আমরা সিদ্ধান্ত নিতাম। এটাই আমাদের পরিকল্পনা ছিল সাকিব বা শেখ মাহেদী যে কেউ শেষ ওভার করবে। ’