রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা ফাঁস করার অভিযোগের মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির বিশেষ আদালত। সেইসঙ্গে দেশটির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিকেও ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দেশটির রাজধানী ইসলামাবাদের বিশেষ আদালত এ রায় দিয়েছেন। খবর আল জাজিরা ও বিবিসির।
২০২২ সালে ইমরান খান সংসদে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধ আনা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ইতোমধ্যে তাকে ৩ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছিল। গোপন আইনের অধীনে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় দেশটির সাধারণ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার এক সপ্তাহ আগে ইমরানকে ভোটে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়।
তবে তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগই রাজনৈতিক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন ইমরান।
এদিকে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিকেও ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিশেষ আদালত।
ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে অভিযোগ করেন, তার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার চক্রান্ত চলছে। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি নাম না উল্লেখ করলেও আকারে-ইঙ্গিতে তিনি তাদের দিকেই আঙুল তোলেন। এমনকি তিনি একাধিক সমাবেশে কিছু নথিপত্র প্রকাশ করেন, যেটাকে ফাঁস হওয়া গোপন কূটনৈতিক তারবার্তা বলে উল্লেখ করেন।
যদিও ইমরানের সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার চক্রান্তের অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে ওয়াশিংটন।
ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) মামলাটিকে একটি ‘শেম কেস’ বলে অভিহিত করেছে এবং বলেছে, আদালতের রায়কে তারা চ্যালেঞ্জ করবে।