সিলেট পর্বে প্রথম দিনের দুই ম্যাচে সেভাবে রান ওঠেনি। দ্বিতীয় দিনেই স্কোরবোর্ডে এবারের আসরে সর্বোচ্চ সংগ্রহ জমা করল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪ উইকেটে ১৯৩ রান করেছে তারা। সর্বোচ্চ ৯১ রান করে অপরাজিত থাকেন আভিশকা ফার্নান্দো।
শুরুতে অবশ্য মনে হয়নি চট্টগ্রামের রানের কোটা এতো দূর পৌঁছাবে। শতরান ছুঁতেই ১৪ ওভার লাগে তাদের। কিন্তু এরপর চার-ছক্কার ফুলঝুড়ি ছোটাতে থাকেন আভিশকা। ২১ রানে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে থাকা দলের হাল ধরেন এই লঙ্কান ওপেনার। তাইজুল ইসলামের শিকার হয়ে তানজিদ হাসান তামিম ১২ ও ইমরানউজ্জামান বিদায় নেন ব্যক্তিগত ৪ রানে।
শাহদাৎ হোসেন দীপুকে সঙ্গে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে ৭০ রানের জুটি গড়েন আভিশকা। সেই জুটি ভাঙেন ইয়ানিক ক্যারিয়াহ। ২৯ বলে ৩১ রান করা দীপুকে বোল্ড করেন তিনি। আভিশকা অবশ্য থামেননি। চতুর্থ উইকেটে নাজিবুল্লাহ জাদরানকে নিয়ে যোগ করেন ৬৯ রানের জুটি। ৪০ বলে ফিফটি ছোঁয়ার পর আর মাত্র ১০টি বলই খেলতে পারেন। সেই ১০ বল থেকে ১৯ রান আদায় করেন তিনি। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগালেও ৫০ বলে ৫ চার ও ৭ ছক্কায় ৯১ রানে অপরাজিত থাকতে হয় তাকে।
শেষদিকে ৯ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় অপরাজিত ২৯ রানের দুর্দান্ত ক্যামিও ইনিংস খেলে চট্টগ্রামকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে যান কার্টিস ক্যাম্ফার। ১৪ ওভারে ১০১ রান করা চট্টগ্রাম শেষ ছয় ওভারেই তোলে ৯২ রান।
বরিশালের হয়ে তাইজুল ছাড়া বাকি সবাই খরুচে বোলিং করেছেন। বাঁহাতি এই স্পিনার দুটি এবং কামরুল ইসলাম রাব্বি, ইয়ানিক ক্যারিয়াহ নেন একটি করে উইকেট।