বিপিএলে এবার ফরচুন বরিশালের হয়ে খেলেন শোয়েব মালিক। কিন্তু তিন ম্যাচ খেলেই দুবাই চলে যাওয়ার পর চুক্তি বাতিল করেন তিনি।এর আগে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ম্যাচে এক ওভারে তিনটি নো বলসহ ১৮ রান দিয়ে খবরের শিরোনাম হন পাকিস্তানের এই অলরাউন্ডার।
এক বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফরচুন বরিশালের কর্নধার মিজানুর রহমান জানান, মালিকের এমন কাণ্ডে স্পট ফিক্সিংয়ের গন্ধ পাচ্ছেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি বিসিবির দুর্নীতি দমন ইউনিটকে তদন্তের আহবান জানান।
তবে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে টুইটারে শোয়েব মালিক, ‘ফরচুন বরিশালে আমার ভূমিকা নিয়ে সম্প্রতি যে গুজব ছড়ানো হয়েছে, সেগুলো আমি প্রত্যাখ্যান করছি। আমাদের অধিনায়ক তামিম ইকবালের সঙ্গে আমার বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে এবং আমরা মিলিতভাবেই সামনে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছি। পূর্ব-প্রতিশ্রুতির কারণে মিডিয়া এঙ্গেজমেন্টের কারণে আমাকে বাংলাদেশ ছেড়ে দুবাই যেতে হয়েছে। ’
‘সামনের ম্যাচগুলোর জন্য ফরচুন বরিশালকে আমার শুভকামনা। যদি তাদের প্রয়োজন হয়, আমি তাদের সহায়তা করার জন্য প্রস্তুত আছি। খেলায় আমি সব সময়ই আনন্দ খুঁজে পাই এবং সামনেও তাই খুঁজে যাব। আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, আমি কড়াভাবেই এসব ভিত্তিহীন গুজব প্রত্যাখ্যান করছি। যে কোনো তথ্য বিশ্বাস করার আগে এবং সেটি ছড়িয়ে দেওয়ার আগে প্রত্যেকের উচিত তা যাচাই-বাছাই করা। ’
‘মিথ্যাচার মানুষের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে পারে এবং অপ্রয়োজনীয় দ্বিধাদ্বন্দ্ব তৈরি করতে পারে। সম্প্রতি যেসব গুজব ছড়ানো হয়েছে বিশেষ করে সেগুলোর কারণেই আমি এটার ওপর জোর দিচ্ছি। ’
টুইটের সঙ্গে মিজানুর রহমানের একটি ভিডিও জুড়ে দেন শোয়েব মালিক। মিজানুর রহমান বলেন, ‘শোয়েব মালিককে নিয়ে কদিন যাবত অনেক ধোঁয়াশা হচ্ছে। এটা পুরোপুরি ভুল একটা তথ্য। আমরা কোনো নিউজ চ্যানেল বা কাউকে এমন তথ্য দেইনি। খেলতে গিয়ে হার-জিত হতেই পারে, এটা ভিন্ন গল্প। শোয়েব মালিক তার সেরাটা দিয়ে খেলেছেন। আমরা কাউকে অভিযোগ করিনি। এমনকি তার সঙ্গেও কথা বলিনি। ‘
‘আজকে অনেক মিডিয়া আমাকে কল করেছে, যেটা আমার কাছে ভালো লাগছে না। যে কারণে আমি এই বার্তাটা দিচ্ছি যে, তার প্রতি আমাদের কোনো অভিযোগ নেই। দয়া করে, বিষয়টি বড় করার চেষ্টা করবেন না। ‘