রিকি পন্টিং, মিচেল জনসন, মাইকেল ক্লার্ক, স্টিভেন স্মিথের পর পঞ্চম অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে আইসিসির বর্ষসেরা পুরুষ ক্রিকেটার হলেন প্যাট কামিন্স। সতীর্থ ট্রাভিস হেড, ভারতের রবীন্দ্র জাদেজা ও বিরাট কোহলিকে ছাপিয়ে স্যার গ্যারফিল্ড সোবার্স পুরস্কার নিজের করে নিলেন ডানহাতি এই পেসার।
আজীবন স্মৃতিতে রাখার মতো একটি বছর কাটানোর পর এমন পুরস্কার কামিন্সের জন্য অনুমিতই ছিল। তিন ফরম্যাটে দলের নেতৃত্ব কাঁধে নেওয়ার পর কেবল সুসময়ই কাটছে তার। ভারতকে হারিয়ে গত বছরের জুনে দলকে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জেতান তিনি। তার কয়েক মাস বাদে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় সাফল্যের দেখা পান এই পেসার। সেই ভারতকে তাদের মাটিতে হারিয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন হয় অস্ট্রেলিয়া।
শুধু নেতৃত্ব নয়, বল হাতেও ধারালো ছিল কামিন্সের পারফরম্যান্স। ১১ টেস্টে খেলে বছরের সর্বোচ্চ ৪২ উইকেট শিকার করেন ডানহাতি। ১৩ ওয়ানডে খেলে পান ১৭ উইকেট।
স্যার গ্যারি সোবার্স পুরস্কার জেতার পর কামিন্স বলেন, ‘এটি বিশাল এক সম্মান। দুর্দান্তসব দলীয় পারফরম্যান্সের মধ্য দিয়ে বড় একটি বছর কেটেছে। এমন ব্যক্তিগত সম্মান পাওয়াটা আমার কাছে বিশাল অর্থ বহন করে এবং আমি খুবই আপ্লুত। ব্যক্তিগত পুরস্কারের ক্ষেত্রে এটি উপরেই থাকবে। যারা মনোনীত হয়েছে তারাও দুর্দান্ত এক বছর কাটিয়েছে। সতীর্থ হিসেবে ট্রাভিস হেডকে আমি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল ও বিশ্বকাপ ফাইনাল জিততে দেখেছি এবং দুটোতেই সে ম্যাচসেরা ছিল। অসাধারণ এক বছর কাটিয়েছে সে। জাদেজা ও কোহলি দুজনেই ধারাবাহিকভাবে দুর্দান্ত ছিল। চাপের মুহূর্ত থেকে দলকে বের করা এবং জেতানোর উপায় খুঁজে বের করত তারা। তাই তাদের ছাপিয়ে জিততে পারাটা সত্যিই স্পেশাল। ‘
এদিকে টানা দ্বিতীয়বার নারী বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতেছেন ইংল্যান্ডের ন্যাট সিভার-ব্রান্ট। তিন ফরম্যাটে ১৮টি ম্যাচ খেলে ৮৯৪ রান করেছেন তিনি।
একনজরে আইসিসি পুরস্কার ২০২৩
বর্ষসেরা পুরুষ ক্রিকেটার: প্যাট কামিন্স (অস্ট্রেলিয়া)
বর্ষসেরা নারী ক্রিকেটার: ন্যাট সিভার-ব্রান্ট (ইংল্যান্ড)
বর্ষসেরা পুরুষ টেস্ট ক্রিকেটার: উসমান খাজা (অস্ট্রেলিয়া)
বর্ষসেরা পুরুষ ওয়ানডে ক্রিকেটার: বিরাট কোহলি (ভারত)
বর্ষসেরা নারী ওয়ানডে ক্রিকেটার: চামারি আতাপাত্তু (শ্রীলঙ্কা)
বর্ষসেরা পুরুষ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার: সূর্যকুমার যাদব (ভারত)
বর্ষসেরা নারী টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার: হেইলি ম্যাথুস (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
বর্ষসেরা উদীয়মান পুরুষ ক্রিকেটার: রাচিন রবীন্দ্র (নিউজিল্যান্ড)
বর্ষসেরা উদীয়মান নারী ক্রিকেটার: ফিবি লিচফিল্ড (অস্ট্রেলিয়া)
বর্ষসেরা ক্রিকেটার (সহযোগী সদস্য): বাস ডে লেডে (নেদারল্যান্ডস)
বর্ষসেরা আম্পায়ার: রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ (ইংল্যান্ড)