রমজানের পণ্যের কোনো ঘাটতি নেই বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার টিসিবি ভবনে অধিদপ্তরের সভা কক্ষে আসন্ন পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ভোক্তা ডিজি সফিকুজ্জামান বলেন, বাজারে গিয়ে একসঙ্গে মাসের বাজার করলে সাপ্লাই চেইনে প্রভাব পড়বে। কিন্তু এক সপ্তাহর বাজার করলে তেমন প্রভাব পড়ে না সাপ্লাইয়ে।
তিনি বলেন, এবারের রমজানের আগে মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে মানুষজন বেতন পেয়ে যাবেন। আর তখন আমরা মনে করি রমজানের জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাবে। আমরা রোজার দুইদিন আগে সবাই বাজারে চলে যাব। সাধারণত আমাদের মাসে তেল লাগে ৪ লিটার। রমজানে ১০ লিটার ক্রয় করি, এভাবে সবাই কেনা শুরু করেন। তখন রমজানে বাজারের সাপ্লাই প্রভাব পড়ে। বাজারে পণ্যের সাপ্লাই কম থাকলে তখন ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। রমজানের প্রথম দিকে হঠাৎ করে পণ্যের দাম বেড়ে যায়, আবার রমজানের মাঝে পণ্যের দাম কমে যায়। অনেক অ্যানালাইসিস করে আমরা জানতে পেরেছি বাজারে রপ্তানি পণ্যের কোনো ঘাটতি নেই। কিন্তু আমাদের চরিত্রের কারণে, বাড়তি পণ্য ক্রয় করার কারণে সাপ্লাই চেইনের প্রভাব পড়তে পারে। বাজার থেকে এক সপ্তাহের পণ্য ক্রয় করলে বাজারের সাপ্লাইয়ের প্রভাব পড়ে না।
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মহাপরিচালক বলেন, যে-সব ব্যবসায়ীরা বাজারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখবেন তাদের ভোক্তা দিবসে পুরস্কৃত করা হবে। আর যারা বাজার মূল্য বৃদ্ধি করবেন তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা আমাদের স্টাডিজি পরিবর্তন করেছি। আমরা গোপনে কাজ করছি। এবার আমরা খুচরা ব্যবসায়ী আর পাইকারদের ধরবো না। মার্কেট ও বাজার কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
তিনি আরও বলেন, ক্রেতাদের পণ্যের ভাউচার দিতে হবে ব্যবসায়িদের। ভাউচার নিয়ে ভাঁওতাবাজি চলবে না। ব্যবসায়ীরা আমাদের কমিটমেন্ট দিয়েছেন, ভাউচার দেবেন। কমিটমেন্ট ভঙ্গ করলে আইনি ব্যবস্থা নেব। কথা না রাখলে দোকান বন্ধ করে দেওয়া হবে।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, এফবিসিসিআই পরিচালক মো. এনায়েত উল্লাহ, দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন, কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) কোষাধ্যক্ষ ড. মো. মঞ্জুর-ই-খোদা তরফদার প্রমুখ।