পাঁচ শতাংশ সুবিধা এবং এপিএ (বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি) বোনাসের দাবিতে চার দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দ্বিতীয় দিনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। নেসকো বিদ্যুৎ শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির (সিবিএ) আয়োজনে মঙ্গলবার এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
রাজশাহী মহানগরের হেতম খাঁ এলাকায় থাকা নেসকোর প্রধান কার্যালয় প্রাঙ্গণে সকাল ১১টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধন চলাকালে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নেসকো বিদ্যুৎ শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি প্রভাস কুমার আচার্য।
বক্তব্য রাখেন নেসকো বিদ্যুৎ শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম খান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সোহেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ এনামুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, শ্রমিক কল্যাণ সম্পাদক শামীম উদ্দীন, শিক্ষা ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আঁখি ইকবাল, ক্রীড়া ও সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অঞ্জন কুমার মিত্র ও আইনবিষয়ক সম্পাদক সুলতান মাহমুদ।
এছাড়াও অন্যান্য নেতারা ও সব পর্যায়ের শ্রমিক কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধন থেকে নেতারা বলেন, সরকার গত বছরের জুলাই থেকে ৫ শতাংশ হারে কর্মচারীদের বিশেষ সুবিধা দিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেই সুবিধা তাদের বেতনের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়নি। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও সরকারি কর্মচারীদের জীবনমানের কথা বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এই ব্যাপারে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ওই প্রজ্ঞাপনের আলোকে সরকারি আইন, ২০১৮ এর ১৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকারি-বেসামরিক, স্বশাসিত এবং রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানসমূহ, ব্যাংক-বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহে নিয়োজিত কর্মচারিদের ১ জুলাই ২০২৩ তারিখ থেকে পাঁচ শতাংশ বিশেষ সুবিধা ঘোষণা করা হয়েছিল।
তারা বলেন, এই সুবিধা বিউবো কর্মকর্তারা ১ জুলাই থেকেই তা ভোগ করছেন। নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি পিএলসির প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডেরই একটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তাই বিউবোর মতো পাঁচ শতাংশ হারে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার জন্য দাবি জানানো হয়।
তারা আরও বলেন, সোমবার (২২ জানুয়ারি) থেকে তারা এ দাবিতে কর্মবিরতিতে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) পর্যন্ত তা চলবে।
এর মধ্যে বুধবার (২৪ জানুয়ারি) কর্মবিরতি এবং বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ মিছিল করবেন তারা। এর মধ্যে তাদের দাবি না মানলে কঠোর কর্মসূচিতে যাবেন বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন নেতারা।