নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে কোনো প্রত্যাশা নেই বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, আজ নির্বাচন প্রক্রিয়া গণতান্ত্রিক নয়। নির্বাচনের সময়ে যদি নিরপেক্ষ সরকার গঠিত না হয়, তাহলে সবকিছু অর্থহীন হয়ে যাবে। এ কারণে নতুন রাষ্ট্রপতি নিয়ে বিএনপির আগ্রহ কম, তাঁর কাছে প্রত্যাশাও নেই।
২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনের শপথ গ্রহণের পর সোমবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সংবিধানের বাইরে যাওয়ার সুযোগ রাষ্ট্রপতির নেই। তাঁর সেই সাহস আছে বলেও মনে করছি না।’
রাজনৈতিক সংকট সমাধানে রাষ্ট্রপতি সংলাপের উদ্যোগে নিলে বিএনপি যাবে কিনা এমন প্রশ্নে মির্জা ফখরুল বলেন, বিষয়টা হচ্ছে, সেই ধরনের কোনো সম্ভাবনার সৃষ্টি হয়েছে কিনা। সরকারের বাইরে রাষ্ট্রপতির কিছুই করার ক্ষমতা নেই। যদি সরকার চায় তাহলে রাষ্ট্রপতি চাইবেন।
মো. সাহাবুদ্দিন কী দলীয় না বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হয়ে উঠবেন এ প্রশ্নে জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, এমনিতে যারা রাষ্ট্রপতি হন, তারা দল থেকে নির্বাচিত হন। তাই দলীয় আনুগত্য ধরে রাখতে হয়। মো. আবদুল হামিদ আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ছিলেন। বি চৌধুরীকে (একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী) বিএনপি রাষ্ট্রপতি করেছিল। কিন্তু বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হয়ে উঠবেন কিনা তা নির্ভর করবে- তিনি কীভাবে চিন্তা করছেন, তিনি রাষ্ট্রের সমস্যা সমাধান করবেন, না কি দলের সমস্যা সমাধান করবেন এটা তাঁর (রাষ্ট্রপতি) বিষয়। বিএনপি আগামীতে ক্ষমতায় গেলে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য আনবে।’
বিদায়ী রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে একজন ‘ভালো মানুষ’ ছিলেন জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, তিনি প্রাণবন্ত একজন মানুষ, সবকিছু ইতিবাচক দেখতেন।
বিদায়ী রাষ্ট্রপতির দুই মেয়াদে দুটি সংসদ নির্বাচন হয়েছে, তাতে জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়েছে কিনা জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটা তো ইতিহাস বিচার করবে।