ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় বাজারের মধ্যে সবার সামনে বিএনপি নেতা হোমিও চিকিৎসক মো. হারুন অর রশিদকে (৪৮) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত রুবেল মিয়ার বাড়িতে আগুন দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ জনতা।
এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ চার রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার পাইথল ইউনিয়নের গয়েশপুর বাজারে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। এরপর বিকেল ৩টার দিকে বিক্ষুব্ধ জনতা অভিযুক্ত রুবেলের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেন।
এসময় শত শত উত্তেজিত জনতা রুবেল মিয়াকে পিটিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
রুবেল পাইথল ইউনিয়নের নেওকা গ্রামের শাহাব উদ্দিনের ছেলে।
পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খায়রুল বাশার জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় রুবেল মিয়াকে আটক করা হয়েছে। রুবেল কেন হারুনকে হত্যা করেছেন, তা এখনো জানা যায়নি। জিজ্ঞাসাবাদে বিস্তারিত জানা যাবে।
এদিকে নিহত হোমিও চিকিৎসক মো. হারুন অর রশিদ উপজেলার পাইথল ইউনিয়নের গোয়ালবর গ্রামের মৃত খোরশেদ আলীর ছেলে। তিনি পাইথল ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলে দাবি করেছেন ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা ও পাগলা থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আকতারুজ্জামান বাচ্চু।
নিহতের ফুফাতো ভাই মো. আমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, হারুর অর রশিদ এলাকার জনপ্রিয় হোমিও চিকিৎসক ছিলেন। তার সঙ্গে কারো কোনো শত্রুতা ছিল বলে আমার জানা নেই। তাকে হত্যা করায় উত্তেজিত জনতা ঘাতক রুবেলের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন।