কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক সমুদ্র উপকূলে টেনে আনা ডুবন্ত সেই ট্রলার থেকে অর্ধগলিত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া ১০ লাশের ঘটনার রহস্য দ্রুত উদঘাটনের আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আনোয়ার হোসেন।
সোমবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে ডিআইজি আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের একটি দল ট্রলারডুবিতে নিহত কয়েকজনের স্বজনের সঙ্গে কথা বলেন।
ডিআইজি বলেন, ট্রলারডুবির ঘটনা উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশের একাধিক দল। দ্রুত হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করে অপরাধীদের আইনে আওতায় আনা হবে।
তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা সুনিশ্চিতভাবে বলতে পারছি না কীভাবে হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটেছে। কারা ঘটিয়েছে- আমাদের তদন্তকারীরারা কাজ করছেন। ঢাকা থেকে সিআইডি, পিবিআইর দল এসে অনুসন্ধান শুরু করেছে। আমরা ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের দ্রুত চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি।
নিহত ১০ জনের মধ্যে চারজনকে তাদের স্বজনেরা শনাক্ত করতে পেরেছেন জানিয়ে আনোয়ার হোসেন বলেন, বাকিদের এখনও শনাক্ত করা যায়নি। লাশের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহে রাখা হবে। স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে লাশগুলোর পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
এদিকে, পিবিআই ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সূত্রে জানা গেছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের ছনখোলা পাড়ার রফিক মিয়ার ছেলে সামশুল আলম (২৩), শাপলাপুর ইউনিয়নের মিটাছড়ি গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (১৮), জাফর আলমের ছেলে সওকত উল্লাহ (১৮), মুসা আলীর ছেলে ওসমাণ গনি (১৭), সাহাব মিয়ার ছেলে সাইফুল্লাহ (২৩), মোহাম্মদ আলীর ছেলে পারভেজ মোশাররফ (১৪), মোহাম্মদ হোসাইনের ছেলে নুরুল কবির (২৮), চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের কবির হোসাইনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৪), শাহ আলমের ছেলে মোহাম্মদ শাহজাহান (৩৫) ও চকরিয়া পৌরসভার চিরিঙ্গা এলাকার জসিম উদ্দীনের ছেলে তারেক জিয়া (২৫)।
প্রসঙ্গত, একদল জেলে বঙ্গোপসাগরে গভীর এলাকায় অর্ধনিমজ্জিত ফিশিং বোটটি দেখতে পায়। তারা শনিবার ঈদের দিন ভোররাতে ফিশিং বোটটি টেনে নাজিরাটেক পয়েন্টে নিয়ে আসে। সেখানে এনে বোটের ভেতরের পানি ফেলে গলিত বেশ কয়েকটি লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে রোববার (২৩ এপ্রিল) বিকেল ৫টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ট্রলারটির ক্লোডস্টোর (মাছ রাখার স্থান) থেকে ১০ জনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।