পাকিস্তান জাতীয় দলের ধারাবাহিক ব্যর্থতায় কপাল পুড়লো মিকি আর্থারের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ছয় মাস আগে তার সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।তার সঙ্গে বিদায় নিচ্ছেন আরও দুই বিদেশি কোচ।
আজ মঙ্গলবার পিসিবি’র এক সিনিয়র কর্মকর্তার বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে’ এমন খবর দিয়েছে।
আর্থার, পুটিক ও ব্র্যাডবার্নকে গত বছরের এপ্রিলে নিয়োগ দেন সেসময়ের বোর্ড প্রধান নাজাম শেঠি।
মূলত ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর থেকেই টিম ডিরেক্টর মিকি আর্থারের বিদায়ের ঘণ্টা বাজতে শুরু করেছিল। তার সঙ্গে বিদায় দেওয়া হচ্ছে প্রধান কোচ গ্র্যান্ট ব্র্যাডবার্ন ও সহকারী কোচ অ্যান্ড্রু পুটিককে। এই তিনজনের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা বলবেন পিসিবি চেয়ারম্যান জাকা আশরাফ এবং চিফ অপারেটিং অফিসার সালমান নাসের।
গত এশিয়া কাপ ও ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাকিস্তান দলের ম্যানেজমেন্টের অংশ ছিলেন আর্থার, ব্র্যাডবার্ন ও পুটিক। বিশ্বকাপ শেষে তিনজনই ভারত থেকে লাহোরে ফিরে আবার ছুটি কাটাতে নিজ নিজ দেশে যান। তবে ওই সময়ই পিসিবি তাদের জানিয়ে দেয়, তাদের সার্ভিসের আর প্রয়োজন নেই। সাবেক ক্রিকেটার মোহাম্মদ হাফিজকে পাকিস্তান দলের ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ার পর ওই তিন কোচকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে (এনসিএ) কাজ করার জন্য।
কিন্তু বোর্ড চুক্তির শর্তবালী বিশ্লেষণ করে দেখে, তাদের জোর করে এনসিএ-তে কাজ করানোর সুযোগ নেই। কারণ তাদের সঙ্গে শুধু জাতীয় দলের কাজ করার জন্য চুক্তি করা হয়েছিল।
এদিকে মিকি আর্থার এরইমধ্যে কাউন্টি ক্লাব ডার্বিশায়ারের সঙ্গে কাজ করা শুরু করে দিয়েছেন। পুটিক এবং ব্র্যাডবার্নও একই পথে হাঁটছেন। এর মধ্যে পুটিক যোগ দিচ্ছেন আফগানিস্তানের ব্যাটিং কোচ হিসেবে এবং ব্র্যাডবার্ন আরেক কাউন্টি ক্লাব গ্ল্যামারগনের হেড কোচ হওয়ার প্রস্তাব পেয়েছেন। ফলে দ্রুত ব্যাপারটি মীমাংসা করার পথে হাঁটছে পিসিবি। তবে এজন্য তিনজনকেই কয়েক মাসের বেতন অগ্রিম পরিশোধ করা হবে।
২০১৮ সালে পাকিস্তানের সহকারী হিসেবে যোগ দেন ব্র্যাডবার্ন। এরপর ২০২০ সালে পান হাইপারফরম্যান্সের দায়িত্ব। গত বছর সাকলাইন মুশতাককে সরিয়ে তাকে দলের হেড কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয় পিসিবি। যদিও দলের মূল কর্তৃত্ব ছিল টিম ডিরেক্টর মিকি আর্থারের হাতে। বিশ্বকাপ ব্যর্থতার কারণ হিসেবে দুজনের দায় দেখেন অনেকেই