চলতি মৌসুমে ঠাণ্ডা-জ্বর-কাশি-লিভারে সমস্যা, ত্বকের সমস্যা, রক্তে শর্করা-সুগার, উদ্বেগ বা এসিডিটি সব ধরনের সমস্যার সমাধান পেতে পান করুন চা। চা তবে চা পাতা ছাড়াই তৈরি করুন নানা রকম ভেষজ চা।কোন চা কেন খাবেন জেনে নিন:
ধনেপাতার চা
খাবারের গার্নিশ ও ফ্লেভার হিসেবে ধনেপাতার ব্যবহার রয়েছে। এটি ভালো ডেটক্স উপাদানও। খাবার হজমে সাহায্য করে ধনেপাতার চা।
তুলসী পাতা
সব থেকে উপকারী পাতাটি দিচ্ছি সবার শেষে। জ্বর, গলাব্যথা, সর্দি-কাশি, ত্বক ও কিডনির সমস্যা সমাধানে তুলসী পাতার চা মধু দিয়ে পান করলে দ্রুত আরোগ্য লাভ করবেন।
নিম চা
নিম সহজলভ্য একটি গাছ। বিভিন্ন রোগের ওষুধ হিসেবে নিমের ব্যবহার রয়েছে। নিম চা হিসেবেও কিনতে পাওয়া যায়। অসুস্থতায় পানিতে নিম চা সেদ্ধ করে খেলে উপাকার পাবেন। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ নিম চা লিভারের জন্য উপকারী।
ভেষজ চা পুদিনা পাতা
এটি পেট খারাপ প্রশমিত করার জন্য দারুণ কার্যকর। পুদিনা পাতা দিয়ে চা তৈরি করে পান করাই সাধারণ এবং জনপ্রিয় উপায়।
আদা
বমি বমি ভাব প্রতিরোধ করে। আদা কুচি সরাসরি চিবিয়ে খেলে অথবা চা করে পান করলে উপকার পাবেন।
রসুন চা
সত্যি বলতে গেলে, রসুনের চা খেতে সুস্বাদু নয়। তবে এর উপকারিতা নানাবিধ। রসুনের চায়ে রয়েছে সালফার নামক এক উপাদান যা শরীরকে টক্সিন মুক্ত করে। মেক্সিকো ও স্পেনে কাশি ও সর্দিজ্বরের ভেষজ দাওয়াই হিসেবে রসুন চা খাওয়া হয়।
দারুচিনি
দারুচিনি চা আমাদের রক্তে শর্করা ও সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
প্যাশন ফুল
উদ্বেগ কমাতে কাজ করে প্যাশন ফুল। ফুলের তৈরি চায়ে একই সঙ্গে আপনি পাবেন মিষ্টি স্বাদ ও সুন্দর গন্ধ।
চন্দ্রমল্লিকা
চীনে ঠাণ্ডাজনিত রোগের চিকিৎসায় জনপ্রিয় ঔষধি হিসেবে ব্যবহার করা হয় চন্দ্রমল্লিকা। এটিও আপনাকে চা হিসেবেই পান করতে হবে।
মৌরি বীজ
কোষ্ঠকাঠিন্য, এসিডিটির সমস্যা নেই এমন কেউ হয়তো কমই আছি। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে মৌরি বীজ চিবিয়ে খান অথবা চা পান করুন। সুস্থ থাকতে নিয়মিত ভেষজ চা পান করুন। প্রতিটি চা-এ কয়েক ফোঁটা লেবুর রস আর চিনির বদলে মধু ব্যবহার করলে এই চা হবে আরও উপকারী পানীয়।