জাপানে গতকালের ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬২ জনে দাঁড়িয়েছে, আহত হয়েছেন কমপক্ষে আরও ৩ শতাধিক। অসংখ্য বহুতল ভবনের ধ্বংসাবশেষ, ধারাবাহিক আফটার শক এবং বড় বড় ফাটল ধরা রাস্তার কারণে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা গেছে।
জাপানের সরকারি হিসাব মতে দেশটির ৩১ হাজার ৮০০ মানুষ বর্তমানে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। খবর আলজাজিরা।
জেএমএ (জাপান মিটিওরোলিজক্যাল এজেন্সি ) জানিয়েছে এদিন মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অন্তত ১৫৫ বার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
জেএমএ বলছে ভূমিকম্প গুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৬। স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার সকালের দিকেও বেশ কয়েকবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে বলে জানিয়েছে জেএমএ।
ভূমিকম্পে সুজু শহরতলিতে প্রায় ১ হাজার বাড়ি-ঘর ভেঙেপড়েছে। এলাকাটিতে ১৫ জন নিহত হঅয়ার খবর পাওয়া গেছে।
জাপানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম গুলো বলছে, ১৫৫ টি ভূমিকম্পের প্রায় সবগুলোই রিখটার স্কেলে ৩ মাত্রার ওপরে। তীব্র ভূমিকম্পের কারণে বেশ কয়েকটি ভবন ধসে পড়ে অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছেন। ভূমিকম্প উপদ্রুত ইশিকাওয়া প্রিফেকচারে প্রায় ৩৩ হাজার বাড়ি বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। ভূমিকম্পের সময় বিদ্যুৎ স্ফুলিঙ্গ থেকে সৃষ্ট আগুনেও বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জাপান টাইমস।
এর আগে, গত সোমবার বিকেল ৪টা ১০ মিনিটের দিকে জাপানের নতো অঞ্চলে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার এই ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পের পরপরই সুনামির আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করেছেন স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা। প্রাথমিকভাবে অবশ্য ভূমিকম্পের মাত্রা বলা হয়েছে ৭ দশমিক ৪।
ভূমিকম্পের তীব্রতার কারণে দেশটির রাজধানী টোকিও থেকেও এর কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে জানাগেছে। ভূমিকম্পের ১০ মিনিটের মধ্যেই ১২ ফুট উচ্চতার একটি ঢেউ এসে আছড়ে পড়ে দেশটির ইশিকাওয়া প্রিফেকচারের ওয়াজিমা বন্দরে।