‘মাত্র চব্বিশ ঘণ্টায় কেন এক দিন হয় ত্রিশ ঘণ্টা কিংবা আটচল্লিশ ঘণ্টায় একদিন হতে পারে না’ আমাদের সবার খুব সাধারণ প্রশ্ন এটি। কয়েকজনের সঙ্গে কথা বললে এই একটি প্রশ্নেরই উদয় হবে।যত দ্রুত দিন শুরু করি না কেন, কর্মতালিকার প্রত্যেকটি কাজ সুনিপুণভাবে শেষ করতে করতে দেখা যায় মধ্যরাত হয়ে যায়। কিন্তু এভাবে কতোদিন পারা যায়
এ প্রশ্ন এড়িয়ে চলার কয়েকটি উপায় তুলে ধরা হলো পাঠকদের জন্য-
দিনে মাত্র দু’বার মেইল চেক করুন
সারাদিন মেইল বক্স খুলে বসে থাকার কোনো দরকার নেই। তার চেয়ে বরং সকালে একবার এবং সন্ধ্যায় একবার মেইল চেক করুন।
শুধু গুরুত্বপূর্ণ মেইলগুলোর উত্তর দিন। এক বাক্যে, স্পষ্ট করে কথা সেরে ফেলার চেষ্টা করুন। যেন বার বার একই মেইলের পেছনে সময় ব্যয় করতে না হয়।
সাহায্য চান
প্রতি ছুটির দিনে কাগজ-কলম নিয়ে বসুন। এবার তালিকা করে ফেলুন কোন কাজগুলো করা হয়েছে কিংবা কোনগুলো করা বাকি। নিজে কোনগুলো করতে পারবেন সেগুলো চিহ্নিত করুন এবং কোনগুলো করতে পারবেন না কিংবা সাহায্যের প্রয়োজন হবে সেগুলোও খতিয়ে দেখুন। যে কাজ আপনি নিজে থেকে কিংবা কারো সাহায্য ছাড়া পারবেন না, সে কাজ করে সময় নষ্ট করার আবশ্যকতা নেই। নির্দ্বিধায় যে কারো কাছে সাহায্য প্রার্থনা করুন।
সময় অপচয়কারীকে ‘না’ বলুন
আমাদের প্রত্যেকের জীবনেই এমন কিছু মানুষ থাকেন, যারা আমাদের সময় এবং শক্তি দুয়েরই অপচয় করেন। চক্ষুলজ্জার খাতিরে হয়তো আমরা তাদের কিছু বলে উঠতে পারি না। কিন্তু এখন থেকেই তাদের পাত্তা দেওয়া কিংবা জীবনে জায়গা দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। নতুন বছরে স্পষ্টবাদী হোন, নিজেকে সময় ও গুরুত্ব দিন সবার আগে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০২৪