অস্ট্রেলিয়ার এক ব্যক্তি কারাগারে এক হাজার দিন পার করেছেন। তার পরিবারের অভিযোগ, তাকে ইরাকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে।
ওই ব্যক্তির নাম রবার্ট পিথার। ২০২১ সালে প্রতারণার অভিযোগে তার জেল হয়। তবে জাতিসংঘ এটিকে নির্বিচারে আটক বলে বর্ণনা করেছে।
তিন বড়দিন ধরে রবার্ট কারান্তরীণ থাকার পর তার পরিবার বলছে, তিনি খুব বাজে পরিস্থতিতে রয়েছেন। দ্রুত তার স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে।
রবার্টের আইনজীবী অস্ট্রেলিয়া সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, দ্রুত যাতে এ তিন সন্তানের পিতার মুক্তি নিশ্চিত করা হয়।
গ্রেপ্তারের পর তিনবার দেহের ওজন হারিয়েছেন রবার্ট পিথার। তার স্ত্রী ডেসরি পিথারের দুশ্চিন্তা, রবার্ট কারাগারে মারা যেতে পারেন। তিনি হয়তো তিন সন্তান ফ্লিন, অস্কার ও নালাকে দেখতে পারবেন না।
ডেসরি বিবিসিকে বলেন, এই সুরঙ্গের শেষে কোনো আলো নেই। অনেক মুহূর্ত আমাদের কাছ থেকে হারিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, নালা এ বছর সান্তার কাছে লিখেছে, তিনি যেন পথে ইরাকে থেমে তার বাবাকে তুলে নেন। আমি তাকে বলেছি, সান্তা রাজনৈতিক বিষয়ে নাক গলান না।
রবার্ট পিথার একজন যন্ত্র-প্রকৌশলী। বাগদাদে সেন্ট্রাল ব্যাংকের সদরদপ্তর পুনর্নির্মাণের কাজে ইরাকে গিয়েছিলেন তিনি।
প্রকল্প থেকে অর্থ লোপাটের অভিযোগে ব্যাংক ও নিয়োগকর্তা সিএমই কনসালটিংয়ের মধ্যে চুক্তির বিরোধের জেরে রবার্ট ও তার সহকর্মী খালিদ রাদওয়ানকে কারাগারে যেতে হয়।
তাদের প্রত্যেককে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের সঙ্গে ১২ মিলিয়ন ডলারের যৌথ জরিমানা হয়।