দেশের ৬৩ জেলায় প্রদর্শিত হবে গণ অর্থায়নে নির্মিত ‘সাঁতাও’। জেলা শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় রোববার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেল ৪ টায় জেলা শিল্পকলাগুলোতে সিনেমাটি দেখা যাবে।
এ বিষয়ে ‘সাঁতাও’ চলচ্চিত্রের পরিচালক খন্দকার সুমন বলেন, ৬৩ জেলায় বড় পর্দায় একযোগে একটি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হওয়া নিঃসন্দেহে বিস্ময়ের ব্যাপার। আন্তর্জাতিক যে চলচ্চিত্র উৎসব গুলো হয়, সেখানেও এক যোগে ৬৩ প্রদর্শনী হয় না। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় এতগুলো প্রদর্শনী এতটি চলচ্চিত্রের ভাগ্যে জুটল।
‘সাঁতাও’ চলচ্চিত্রটি সম্প্রতি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ওটিটি প্ল্যাটফর্ম অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওতে মুক্তি পেয়েছে। কেবল যুক্তরাষ্ট্র এবং ইংল্যান্ড থেকে চলচ্চিত্রটি দেখা যাবে। বাংলাদেশ থেকে দেখতে হলে ‘বায়স্কোপ লাইভ’ অ্যাপস থেকে দেখতে।
‘২১তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’-এ বাংলাদেশ প্যানরমা বিভাগে ফিপ্রিসির সেরা চলচ্চিত্র পুরস্কারে ‘সাঁতাও’ পুরস্কৃত হয়। চলচ্চিত্রটি সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছিল চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি। এরপর গেল মার্চ থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় সিনেমাটির বিকল্প প্রদর্শনী হয়েছে।
এর আগে ২০২২ সালে ভারতের ‘৫৩তম ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অব ইন্ডিয়া’ চলচ্চিত্র উৎসবের গোয়া প্রদেশের পাঞ্জি শহরে চলচ্চিত্রটির ‘ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার’ হয়। সিনেমাটি দেশ ও দেশের বাইরে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক উৎসবে পুরস্কার অর্জন করে।
‘সাঁতাও’ সিনেমাটির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন আইনুন পুতুল ও ফজলুল হক। এ ছাড়াও অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন মো. সালাউদ্দিন, সাবেরা ইয়াসমিন, স্বাক্ষ্য শাহীদ, শ্রাবণী দাস রিমি, তাসমিতা শিমু, মিতু সরকার, ফারুক শিয়ার চিনু, আফ্রিনা বুলবুল, রুবল লোদী, কামরুজ্জামান রাব্বী, আব্দুল আজিজ মন্ডল, বিধান রায়, জুলফিকার চঞ্চল, বিনয় প্রসাদ গুপ্ত, সুপিন বর্মণ, রেফাত হাসান সৈকত, আব্দুল্লাহ আল সেন্টু, আলমগীর কবীর বাদল, রবি দেওয়ান, দীনবন্ধু পাল, হামিদ সরকার, মোঃ হানিফ রানা, আকতার হোসেন, আজিজুল হাকিম শিউস, সাইফুল ইসলাম লিটন, রাসেল তোকদার, মজনু সরকার, আবু কালাম, সিদ্দীক আলী, সুজন মাহমুদ, তাহসিনা আকতার তন্বী, নিশাত তাহিয়াত মিমন এবং তিস্তাবাজার এলাকাবাসী।
আইডিয়া এক্সচেঞ্জের ব্যানারে ‘সাঁতাও’ প্রযোজনা করেছেন শরিফ উল আনোয়ার সজ্জন। পরিচালনার পাশাপাশি কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন খন্দকার সুমন। সম্পাদনা, রং-বিন্যাস, এফেক্ট ও টাইটেল, সাউন্ড ডিজাইন ও সাউন্ড মিক্সিং করেছেন সুজন মাহমুদ। শব্দ গ্রহণে ছিলেন নাহিদ মাসুদ।
চিত্রগ্রহণে ছিলেন সজল হোসেন, ইহতেশাম আহমদ টিংকু ও খন্দকার সুমন। আবহ সংহীত করেছেন মাহমুদ হায়াৎ অর্পণ। গানে কণ্ঠ দিয়েছেন কামরুজ্জামান রাব্বী, লায়লা তাজনূর সাউদী, লিমা হক। শিল্প নির্দেশনা দিয়েছেন রবি দেওয়ান।
পোশাক পরিকল্পনায় ছিলেন আফ্রিনা বুলবুল। নৃত্য পরিচালনা করেছেন ফাহিম রায়হান। রূপসজ্জা করেছেন ফরহাদ রেজা মিলন ও পোস্টার ডিজাইন করেছেন সাজ্জাদুল ইসলাম সায়েম।