গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: আবেদন ফি কমিয়ে ৫০০ টাকা করার দাবি জবি শিক্ষক সমিতির

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: আবেদন ফি কমিয়ে ৫০০ টাকা করার দাবি জবি শিক্ষক সমিতির

নতুন শিক্ষাবর্ষে ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় স্বচ্ছতা চায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। গুচ্ছের সব ত্রুটি সংশোধনসহ বিগত দুই বছরের গুচ্ছের সংশ্লিষ্ট সব খাতের আয়-ব্যয়ের তালিকা চেয়েছেন সংগঠনের নেতারা। এ ছাড়া ভর্তি পরীক্ষায় কীভাবে খরচ করা হবে তার সুস্পষ্ট বিধি জানতে চান তারা। এ ছাড়া গুচ্ছে আবেদন ফি ৫০০ টাকা করার দাবি তুলেছে শিক্ষকদের এই সংগঠন। 

শিক্ষক সমিতির জরুরি সাধারণ সভা শেষে বুধবারের কার্যবিবরণী উল্লেখ করে লিখিত বক্তব্যে এ সব বিষয় তুলে ধরা হয়। এতে শিক্ষকরা জানান, রাষ্ট্রপতির অভিপ্রায়ের প্রতি তারা সম্মান দেখিয়ে গুচ্ছের পক্ষে মতামত দিয়েছেন। তবে গুচ্ছকে স্বচ্ছ করতে কয়েকটি দাবি তুলেছেন। 

লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, ভর্তির আবেদন ফি সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে; পরীক্ষা পরিচালনার জন্য অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন হলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ভর্তুকি দিতে পারে, পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী সব শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত স্কোর ও মেধাক্রম অবশ্যই প্রকাশ করতে হবে; ভর্তির আবেদন ফি ব্যতিত শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন, মাইগ্রেশশন, ভর্তি বাতিল বা অন্য কোনো কারণে অর্থ প্রদান করবে না; পরীক্ষা পরিচালনা, পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকাণ্ড এবং সুস্পষ্ট নীতিমালা অনতিবিলম্বে প্রণয়ন করে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাইকে জানাতে হবে; ২০২০-২১ এবং ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের আয়-ব্যয়ের হিসাব দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিস্তারিত আকারে প্রকাশ করতে হবে; আসন সংখ্যার ভিত্তিতে নয় বরং গুচ্ছভুক্ত প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের সংখ্যা অনুযায়ী কেন্দ্র ও অন্যান্য ফি সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রদান করতে হবে; ২০২০-২১ এবং ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার সম্মানী বাবদ উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রারসহ অন্যান্য কর্মকর্তা, শিক্ষকরা কোন কাজের জন্য, কে কী পরিমাণ সম্মানী গ্রহণ করেছেন তার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ প্রকাশ করতে হবে; ভর্তির সব প্রক্রিয়া শেষ করে ১ জুলাই ২০২৩ থেকে ক্লাশ শুরু করতে হবে এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নকল্পে এবং ভিসি মহোদয়ের কাজের সুবিধার্থে অন্তত ৬ মাসের জন্য হলেও একটি নির্দেশনা জারি করার দাবি জানাচ্ছি।

যে, ভিসি মহোদয়ের কক্ষে কোনো শিক্ষক যেন অপ্রয়োজনে আনাগোনা করতে না পারেন। সাক্ষাতের জন্য অনুমতি নিয়ে ঢুকবেন এবং কাজ শেষে অকারণে বসে না থেকে বের হয়ে যাবেন।

লিখিত বক্তব্যে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় আইনের সঙ্গে প্রজ্ঞাপন সাংঘর্ষিক এ নিয়ে প্রশ্নও আছে তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলেছেন মহামান্যের আদেশের ওপর কোনো বিতর্ক থাকা যাবে না তা হলে এটি মহামান্যকে অবমাননার শামিল হবে। প্রজ্ঞাপনকে সম্মান জানিয়ে ১৭ এপ্রিলে ৬৬তম বিশেষ একাডেমিক কাউন্সিলে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছের আওতায় ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার পক্ষে যে সিদ্ধান্ত হয়, তাকে আমরা সম্মান জানাই।

প্রসঙ্গত জরুরি এ সভায় ১১৮ জন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। প্রায় রাত ১২টা পর্যন্ত এ সভা চলে। সভায় প্রায় ২০ জন শিক্ষক তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023 EU BANGLA NEWS