মাহেদী হাসান প্রথম ওভারেই এনে দেন উইকেট, পরেরটিতে শরিফুল ইসলাম নেন দুটি। এমন দারুণ শুরুর পর উত্থান-পতনের নানা গল্প লেখা হয়েছে।তবে দলের প্রায় সবার ছোট ছোট অবদানে দুর্দান্ত জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডের পর জিতেছে টি-টোয়েন্টিও।
নেপিয়ারে পাঁচ উইকেটের জয়ে পেসারদের সঙ্গে সমান অবদান রাখেন স্পিনাররাও। মাহেদীর সঙ্গে রিশাদ হোসেনও নেন একটি উইকেট। পেসাররা নেন বাকি সাত উইকেট। পরে ব্যাটিংয়েও ছিল নাজমুল হোসেন শান্ত, সৌম্য সরকার, লিটন দাসদের অবদান। ম্যাচসেরা মাহেদী হাসান এ নিয়ে কথা বলেছেন সংবাদ সম্মেলনে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের পেস বোলার সবাই ভালো করছে। একটা দল জিততে হলে আসলে সবার পারফরম্যান্স গুরুত্বপূর্ণ। এক দুই জনের পারফরম্যান্স গুরুত্বপূর্ণ না। দল হয়ে খেলা, দলের পারফর্ম ছোটখাটো সবাই কমবেশি করে। আমরা স্পিনাররা ভালো বোলিং করেছি, পেস বোলাররা ভালো বল করেছে। এজন্য হয়তো কম রানে আটকাতে পারছি, আমরা জিতছি। ’
‘বোলাররা যখন একটা ভালো সমর্থন দেবেন দলের জন্য। অবশ্যই দলের জন্য আত্মবিশ্বাস অনেক বড় হয়ে যায়। লাস্ট ম্যাচে বোলিং ইউনিটটা যে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছে। ওই মেসেজগুলো হয়তো বোলারের ভেতর আছে। এই কন্ডিশনে জিততে হলে বোলারদের এরকম স্মার্ট বোলিং করতে হবে। এজন্য সবাই চিন্তা করছে ভালোভাবে। আমাদের যে কয়জন বল করেছে, সবাই মিলে খুব ভালো বল করেছে। ’
মাহেদী হাসানকে নিতে হয়েছে বেশ বড় চ্যালেঞ্জ। নেপিয়ারের পেস বান্ধব উইকেটে প্রথম ওভারটি তুলে দেওয়া হয় তার হাতে। এক বছরের বেশি সময় পর খেলতে নেমে দারুণ করেছেন তিনি। প্রথম ওভারে ১ রান দিয়ে নেন এক উইকেট। সবমিলিয়ে ৪ ওভারে দেন কেবল ১৪ রান। প্রথম ওভার বল করা কি চ্যালেঞ্জিং ছিল?
মাহেদীর জবাব, ‘না, দেখেন চ্যালেঞ্জিং না। আমি টি-টোয়েন্টিতে তো প্রথম ওভার করতে অভ্যস্তই। এটা চ্যালেঞ্জিং না আমার কাছে সেটা যে কন্ডিশনে হোক। আমার কাজ বল করা সেটা যেখানেই হোক করতে হবে। আসলে এটা টিম ম্যানেজম্যান্ট আমার ওপর বিশ্বাস করেছে এজন্য প্রথম ওভার দিয়েছে। সেটা যে কন্ডিশনেই হোক আমাকে করতে হবে। ’
শেষদিকে ব্যাট হাতেও অবদান রেখেছেন মাহেদী। লিটনের সঙ্গে কেবল ২৫ বলে ৪০ রানের জুটি গড়ে দলকে জিতেয়ে মাঠ ছাড়েন। নিজেও ব্যাট হাতে অপরাজিত থাকেন ১৬ বলে ১৯ রান করে। লিটনের সঙ্গে জুটিতে কী পরিকল্পনা ছিল মাহেদীর?
তিনি বলেন, ‘যেহেতু লিটন লম্বা সময় ধরে ব্যাটিং করছিল, ওর আসলে উইকেট ও ম্যাচ সম্পর্কে ভালো আইডিয়া হয়ে গেছে। এই ম্যাচটা জিততে হলে আরও ছোট একটা জুটি হলে দলের জন্য ভালো। আমাদের ভালো জুটি হচ্ছিল, কিন্তু মাঝখানে দুই তিনটা ব্রেক থ্রু চলে গেছে। ওখান থেকে লিটন বলছিল ইতিবাচক থাকতে। যা হবে শেষ দুই ওভারে দেখা যাবে। শুধু এভাবে কথা বলে আমরা খেলছিলাম। ’