প্রায় সব জার্মান কোম্পানি শ্রমিকের তীব্র সংকটে ভুগছে। সংস্থাগুলো কাজ পরিচালনা করতে কর্মীদের শূন্য পদ পূরণ করতে হিমশিম খাচ্ছে।
ডিআইএইচকে চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি গত বুধবার বলেছে, ইউরো জোনের বৃহত্তম অর্থনীতিতে স্থবিরতা থাকা সত্ত্বেও এই শ্রমিক–সংকট প্রকট হয়ে উঠেছে। বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলোর মতো জার্মানি, বিশেষ করে দক্ষ ও সর্বোচ্চ বৃদ্ধি খাতে চরম শ্রম ঘাটতির সম্মুখীন হচ্ছে।
এর আগে ২২ হাজার প্রতিষ্ঠানের ওপর চালানো জরিপ থেকে নিয়োগ জটিলতার সম্মুখীন কোম্পানির অনুপাত সামান্য কম ছিল, যা গত জানুয়ারিতে ৫৩ থেকে ৫০ শতাংশে নেমে এসেছে। তবে এখনো তা বেশি।
ডিআইএইচকে-এর ডেপুটি চিফ এক্সিকিউটিভ আচিম ডেরকস বলেছেন, দক্ষ শ্রমের পরিস্থিতি খুবই নাজুক।
সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, জার্মান অর্থনীতিতে সামগ্রিকভাবে ১৮ লাখ চাকরির পদ শূন্য আছে।
আচিম ডেরকস বলেন, এর মানে হলো এ বছর ৯০ বিলিয়ন ইউরোর বেশি মূল্য হারিয়ে যাবে, যা মোট জিডিপির ২ শতাংশের বেশি।
শ্রম ঘাটতির কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশটির শিল্প ও নির্মাণ খাত। কোম্পানিগুলোর মধ্যে যথাক্রমে ৫৪ ও ৫৩ শতাংশ কোম্পানি শূন্য পদ পূরণে হিমশিম খাচ্ছে।
প্রতিবেদন উপস্থাপন করার সময় আচিম ডেরকস বলেছেন, কিছু সেক্টর শুধু দক্ষ শ্রম সংকটের কথাই বলছে না, সাধারণ শ্রমিকের ঘাটতির কথাও বলছে।
জরিপে দেখা গেছে, ১০টি কোম্পানির মধ্যে ৮টি কোম্পানি শ্রমের ঘাটতির কারণে নেতিবাচক ফলাফলের কথা বলেছে।
এ সমস্যা সম্পর্কে সচেতন জার্মান সরকার চলতি বছর ইউরোপীয় ইউনিয়ন-বহির্ভূত দেশগুলো থেকে বিদেশি কর্মীদের আকৃষ্ট করার জন্য নতুন আইন পাস করেছে, যা গত ১৮ নভেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে।